যুক্তরাষ্ট্রের উভয় রাজনৈতিক দলের ৪০ জনেরও বেশি সিনেটর, চীনে চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দমনে যে কোন সহিংস পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার চীনকে সতর্ক করেছেন। তারা বলেন যে, এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে “ মারাত্মক ক্ষতিসাধন” করবে।
ডেমোক্র্যাট জেফ মার্কলি এবং রিপাবলিকান মিচ ম্যাককনেল, ড্যান সালিভান ও টড ইয়াং এর নেতৃত্বে ৪২ জন সিনেটর, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কিন গ্যাং-কে দেওয়া এক চিঠিতে বলেন, তারা চীনের চলমান প্রতিবাদগুলোকে খুবই সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছেন।
সিনেটরদের ঐ চিঠিতে বলা হয়, “আমরা প্রতিবাদ-বিক্ষোভগুলোর প্রতি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিসিপি) প্রতিক্রিয়াকেও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” চিঠিটিতে, ১৯৮৯ সালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে চীনের সহিংস দমনের কথাও উল্লেখ করা হয়। ঐ ঘটনায় হাজার হাজার না হলেও, শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন বলে তারা উল্লেখ করেন।
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে আরোপিত বিশ্বের কঠোরতম কোয়ারেন্টিন নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চীনে ব্যাপক ভাবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে; এই বিক্ষোভের ফলে দেশটি সম্প্রতি নড়ে উঠেছে। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে এমন গণঅসন্তোষ এক নজিরবিহীন ঘটনা।
তিনদশক আগে তিয়ানআনমেন স্কয়ারে বিক্ষোভ দমনের পর, যুক্তরাষ্ট্র ও অনেক পশ্চিমা সরকারই সেখানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জের ধরে গতবছর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন ও কানাডা চীনের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ঐ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে এক “গণহত্যা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
সোমবার হোয়াইট হাউজ বলে যে, তারা চীনের জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করে। তবে হোয়াইট হাউজ বেইজিং-এর কোন সমালোচনা করেনি।
ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের এমন সাবধানী প্রতিক্রিয়া, রিপাবলিকানদের তোপের মুখে পড়ে। তবে, কিছু বিশ্লেষক বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের অস্থিরতা এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের পেছনে “বিদেশী শক্তি” রয়েছে, চীনের এমন বক্তব্যের ঝুঁকি বিবেচনায়, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত সঠিক।