যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম, এভিয়েশন ও সিকিউরিটি বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারনেস ভেয়ার অফ নরবিটন, বাংলাদেশের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহন সেক্টর গড়ে তুলতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় ব্রিটিশ মন্ত্রী এ আগ্রহের কথা জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল কো অপারেশন এইড-এর সহযোগিতায়, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে মেরিন অ্যাকাডেমির যাত্রা শুরুর কথা উল্লেখ করে, বাংলাদেশর প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের নৌপরিবহন সহযোগিতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন সেক্টরে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা বৃদ্ধির; বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মোংলাসহ দেশের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি প্রদান, বাংলাদেশি নাবিকদের সার্টিফিকেট অফ কম্পিটেন্সি-এর মিউচুয়াল রিকগনিশন ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বন্দরে বাংলাদেশি নাবিকদের অন এরাইভাল ভিসা প্রদানের জটিলতা দূর করার অনুরোধ জানান।
বৈঠকে ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যারনেস ভেয়ার বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব নৌপরিবহন সেক্টর গড়তে এবং কপ-২৬-এ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বৈঠকে উভয়েই, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় মেরিটাইম ও শিপিং সেক্টরের ডিকারবোনাইজেশনের লক্ষ্যে, দুই দেশের মেরিটাইম অ্যাকাডেমি ও ইন্সিটিউটের মধ্যে প্রযুক্তি ও নীতি বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রণালয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাইদা মুনা তাসনিম এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক অংশ নেন। নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের ১২৮তম কাউন্সিলে অংশগ্রহণের জন্য, যুক্তরাজ্যে তিন দিনের সফরের সময় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিলো ২০০৯ সালের পর দুই দেশের নৌপরিবহন মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম বৈঠক।