অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বকাপ চলাকালে কাতারের ঘাঁটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ পর্যবেক্ষণ


যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর দেওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ৩৪০তম এক্সপেডিশনারি এয়ার রিফুয়েলিং স্কোয়াড্রন এর বৈমানিকরা, কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি কেসি-১৩৫ স্ট্র্যাটোট্যাংকার বিমান নিয়ে অবতরণ করছেন, ১৬ নভেম্বর ২০২২।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর দেওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ৩৪০তম এক্সপেডিশনারি এয়ার রিফুয়েলিং স্কোয়াড্রন এর বৈমানিকরা, কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি কেসি-১৩৫ স্ট্র্যাটোট্যাংকার বিমান নিয়ে অবতরণ করছেন, ১৬ নভেম্বর ২০২২।

যখন কাতারে বিশ্বকাপ ভক্তরা স্টেডিয়ামে ভিড় জমাচ্ছেন, তখন এর কাছেই অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আট হাজার সৈন্য। জ্বালানি সমৃদ্ধ এই দেশে অবস্থিত একটি প্রধান ঘাঁটি থেকে তারা মধ্যপ্রাচ্যের টালমাটাল আকাশসীমা পর্যবেক্ষণ করছেন।

কাতারের রাজধানী দোহা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার(২০ মাইল) দূরে মরুভূমির এক সমতল এলাকায় আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিটি অবস্থিত। ঘাঁটিটিকে একসময়ে এতটাই স্পর্শকাতর বিবেচনা করা হতো যে, আমেরিকার সামরিক কর্মকর্তারা এটাকে “দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার” কোন এক জায়গায় অবস্থিত বলে ধারণা করতেন।

বর্তমানে এই ক্রমবর্ধমান ঘাঁটি, কাতারের জন্য এক কৌশলগত রত্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এই আরব দেশটির ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে প্রকাশ করে।যুক্তরাষ্ট্রও নেটোর বাইরে দেশগুলোর মধ্যে এখন কাতারকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে।

আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় যুদ্ধ যখন তুঙ্গে, তখন এই ঘাঁটি ও কাতারের অন্যান্য স্থাপনায়, যুক্তরাষ্ট্রের ১০,০০০ সৈন্য মোতায়েন ছিল। বাইডেন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য থেকে সেনা হ্রাস শুরু করার পর, সেই সংখ্যা কমে এক-পঞ্চমাংশে দাঁড়ায়। চীন ও রাশিয়ার সাথে তথাকথিত ‘গ্রেট পাওয়ারস’ প্রতিদ্বন্দ্বীতার প্রস্তুতি হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে এই সেনা হ্রাস শুরু হয়।

তা সত্ত্বেও কাতার এই ঘাঁটিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। ২০০৩ সাল থেকে দেশটি এর পেছনে ৮০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। শুক্রবার এক সফরের সময়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকরা সেখানে নতুন ব্যারাক ও ডাইনিং হল নির্মাণ হতে দেখেন। বিমানসেনারা সেখানে আরও উন্নয়ন হবে বলে জানান। বিমানসেনারা আরও জানান যে, একটি নতুন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আল-উদেইদ-এর এই টাস্কফোর্সটি ড্রোন এবং অন্যান্য যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত। এমন টাস্কফোর্স গঠন এটাই প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তাদের উপস্থিতি বজায় রাখবে। যদিও আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে এর বিপরীতটাও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল এরিন ব্রিলা, এপি-কে বলেন, “এই অঞ্চলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এক অসাধারণ প্রতিশ্রুতি রয়েছে।আমরা এখানে এক স্থায়ী সক্ষমতা হিসেবে অবস্থান করব।”

XS
SM
MD
LG