অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

১ কোটি ১৬ লাখ করযোগ্য ব্যক্তি, রিটার্ন জমা পড়ে ২৫ লাখ: কর্মশালায় এনবিআর কর্মকর্তা


বাংলাদেশে গত করবছরে, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিনধারী ৮৩ লাখ ব্যক্তির মধ্যে রিটার্ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশে গত করবছরে, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিনধারী ৮৩ লাখ ব্যক্তির মধ্যে রিটার্ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশে অন্তত এক কোটি ১৬ লাখ মানুষের করযোগ্য আয় আছে।গত করবছরে মোটামুটি প্রতি চার জনে একজন রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর-তথ্য) মোহাম্মদ জাহিদ হাসান।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত, কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীরা এনবিআরের অংশীদার। আর, এনবিআর ব্যবসা সহজ করার জন্য বিভিন্ন বিধিবিধানের সংস্কার ও আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

এনবিআর সদস্য বলেন, “গত করবছরে, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিনধারী ৮৩ লাখ ব্যক্তির মধ্যে রিটার্ন জমা দিয়েছেন ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। এ সংখ্যা সন্তোষজনক নয়।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, “বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সরকারকে মাঝে মাঝে এসআরও’র মাধ্যমে আর্থিক বিল, ভ্যাট ও ট্যাক্স ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন করতে হয়। একজন উদ্যোক্তাকে, একজন ব্যবসায়ীকে এ বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।”

তিনি জানান, “আমরা কিছু পরিবর্তন দেখেছি, যেমন নগদ লেনদেনের সীমা বাড়ানো, ৩৮টি বিভাগের জন্য বাধ্যতামূলক রিটার্ন জমা দেওয়া, কেন্দ্রীয় ভ্যাট নিবন্ধন ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত রাসায়নিকের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ছাড়, কম্পিউটার-আনুষঙ্গিক আমদানিতে ভ্যাট বৃদ্ধি, স্থানীয় ব্যবসার সুরক্ষার জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট ছাড়।” তিনি আরও বলেন যে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের তাদের হিসাব বই বজায় রাখার জন্য এই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা উচিত।

XS
SM
MD
LG