চীন রবিবার কোভিড-১৯ এ আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। দেশটিতে মানুষজনের ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশিত হওয়ার পর কিছু শহরে সতর্কতার সাথে মহামারী নিরোধী বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে।
দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে যে, শ্যানডং ও সিচুয়ান প্রদেশে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে ঐ ব্যক্তিদের বয়স বা তারা পূর্ণমাত্রার টিকা পেয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়ে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
চীনের মধ্যাঞ্চলের উহান শহরে ২০১৯ সালের শেষদিকে ভাইরাসটি প্রথম সনাক্ত হয়। চীনই হল শেষ এমন বড় দেশ যারা কোয়ারেন্টিন, লকডাউন ও গণপরীক্ষার মাধ্যমে রোগটির সংক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ করার চেষ্টা করছে। ধারণা করা হয় যে, টিকাদানের হার নিয়ে উদ্বেগ, নিজেদের কট্টরপন্থী কৌশল বজায় রাখতে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দৃঢ় সংকল্পের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
যদিও চীনে প্রতি ১০ জনে ৯ জনই টিকা পেয়েছেন, তবুও কমিশনটির তথ্যমতে ৮০ বছর বয়সোর্ধ্ব মাত্র ৬৬% মানুষ এক ডোজ টিকা পেয়েছেন এবং ৪০% বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। তারা জানায় যে, ৬০ বছর বয়সোর্ধ্ব ৮৬% মানুষ টিকা পেয়েছেন।
এমন পরিসংখ্যান এবং ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে চীনের তুলনামূলক কম সংখ্যক মানুষ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করার মত বাস্তবতার ফলে, কেউ কেউ আশঙ্কা করেন যে, বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
তবু ব্যাপক জনরোষের ফলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষ চরম বিধিনিষেধগুলোর কিছু কিছু তুলে নিতে যাচ্ছে, যদিও তারা বলছে যে তাদের “শূন্য-কোভিড” কৌশলটি এখনও বহাল রয়েছে। আক্রান্ত প্রতিটি মানুষকে আইসোলেশনে রাখার উদ্দেশ্যে ঐ কৌশল তৈরি করা হয়েছে।