অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের প্রেসিডেন্ট শি বুধবার সৌদি আরব সফর শুরু করবেনঃ সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম


চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (বামে) এবং সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ (ডানে) বেইজিং-এর চায়না ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চে “রোড টু দ্য আরব রিপাবলিক” অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ফাইল ছবি।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (বামে) এবং সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ (ডানে) বেইজিং-এর চায়না ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চে “রোড টু দ্য আরব রিপাবলিক” অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ফাইল ছবি।

বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিন দিনের সফরে সৌদি আরবে পৌঁছাবেন। বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশে ২০১৬ সালের পর এটি তার প্রথম সফর। মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ সংবাদ জানায়।

এই সফরে সৌদি বাদশা সালমানের সভাপতিত্বে একটি দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এতে উপস্থিত থাকবেন বলে সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে।

জ্বালানি নীতি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তীব্র উত্তেজনার মধ্যে চীনের নেতার এই আগমন ঘটছে।

কয়েক দশক-পুরোনো অংশীদারিত্বের ওপর সর্বসাম্প্রতিক আঘাতটি এসেছিল অক্টোবরে, যখন ওপেক প্লাস ব্লক দিনে ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাতে সম্মত হয়েছিল। হোয়াইট হাউস বলেছিল, এই পদক্ষেপ ইউক্রেন যুদ্ধে “রাশিয়াকে সহায়তার” সমান।

রবিবার ওপেক প্লাস সেই হ্রাস বহাল রাখে।

চীন হলো সৌদি আরবের অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। সৌদি আরবের রপ্তানিকৃত তেলের প্রায় এক চতুর্থাংশ চীন ক্রয় করে থাকে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, জ্বালানি বাদে দুই দেশের নেতারা কিছু সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ওই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে চীনা সংস্থাগুলো সেই মেগা প্রকল্পগুলোর সাথে আরও গভীরভাবে জড়িত হতে পারে, তেল বাদেও যেগুলো সৌদি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার ক্ষেত্রে প্রিন্স মোহাম্মদের দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দু।

এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে নেওম নামে পরিচিত ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি ভবিষ্যত মেগাসিটি, যা ফেসিয়াল রিকগনিশন এবং নজরদারি প্রযুক্তির ওপর অনেক বেশি নির্ভর করবে।

XS
SM
MD
LG