অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আল জাজিরা নিহত সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ’র মামলা আইসিসিতে নিয়ে গেছে


ফিলিস্তিনি ছাত্ররা কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার মুঘরাকার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত আল জাজিরা সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের প্রতীকী শেষকৃত্যের সময় একটি ছায়া কফিন বহন করছে। ১৬ মে, ২০২২। ফাইল ছবি।
ফিলিস্তিনি ছাত্ররা কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার মুঘরাকার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহত আল জাজিরা সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের প্রতীকী শেষকৃত্যের সময় একটি ছায়া কফিন বহন করছে। ১৬ মে, ২০২২। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার টিভি নেটওয়ার্ক আল জাজিরা নিহত সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জমা দিয়ে বলেছে যে, তিনি ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।

কাতার-ভিত্তিক চ্যানেলটি বলেছে, ১১ মে অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ফিলিস্তিনি-আমেরিকানের মৃত্যুর বিষয়ে তারা “নতুন প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে।”

যেকোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তদন্তের জন্য আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন তবে দ্য হেগ-ভিত্তিক আদালতটির এই ধরনের মামলা আমলে নেয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

আল জাজিরা বলেছে তাদের জমা দেয়া “নতুন সাক্ষী প্রমাণ এবং ভিডিও ফুটেজ স্পষ্টভাবে দেখায় যে, শিরিন এবং তার সহকর্মীদের ওপর ইসরাইলি দখলদার বাহিনী সরাসরি গুলি চালিয়েছিল।”

চ্যানেলটি বলেছে, “গোলাগুলির মধ্যে শিরিন ভুলবশত নিহত হয়েছেন- ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

এএফপির একজন সাংবাদিক আল জাজিরার মামলার প্রতিনিধিত্বকারী একজন আইনজীবীকে তাদের বক্তব্য জমা দেয়ার জন্য আইসিসির সদর দপ্তরে প্রবেশ করতে দেখেছেন।

গত বছর আইসিসি ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেছিল, কিন্তু ইসরাইল আইসিসির সদস্য নয় এবং তারা আদালতের এখতিয়ার নিয়ে বিতর্ক করে।

৫ সেপ্টেম্বর ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে, সম্ভবত তাদের একজন সেনা আবু আকলেহকে জঙ্গি ভেবে গুলি করেছে। ইসরাইল বলেছে যে, তারা আবু আকলেহের মৃত্যুর বাহ্যিক কোন তদন্তে সহযোগিতা করবে না।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কেউ আইডিএফ (ইসরাইলি সামরিক) সেনাদের তদন্ত করবে না, এবং কেউ আমাদেরকে যুদ্ধের নৈতিকতা সম্পর্কে সবক দেবে না, আল জাজিরা তো নয়ই।”

XS
SM
MD
LG