চীনের সঙ্গে মঙ্গোলিয়ার কয়লা বাণিজ্যের দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর স্টেট প্যালেসে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বরখাস্তের দাবি জানায়।
উলানবাতারে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সোমবার একটি সতর্কতা জারি করে বলে, সপ্তাহান্তে কয়েকশত বিক্ষোভকারী হিমশীতল ঠান্ডায় শহরের সুখবাতার স্কোয়ারে জড়ো হয়ে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন রকম স্লোগান দিয়ে দাবি করে যে, চীনের সাথে মঙ্গোলিয়ার সীমান্তে মজুদ থেকে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার টন কয়লা চুরির অভিযোগে সরকারের কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই ছিলেন কলেজ ছাত্র এবং অন্যরা তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে। তাদের কয়েকজন ঐতিহ্যবাহী ভারী পোশাক পরেছিলেন এবং কেউ কেউ প্ল্যাকার্ড ধরে ছিলেন।
"আপনি যদি আপনার দেশকে না ভালবাসেন , তাহলে কেন এর নাগরিক হবেন," একজন বলেন। আরেকজনের হাতে ধরা একটি ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা ছিল, ''আমরা আমাদের দেশে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে চাই।''
অভিযোগগুলি উঠেছে দক্ষিণ গোবি মরুভূমির তাভান টোলগোই অঞ্চলের কয়লাকে কেন্দ্র করে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এরডেনেস তাভান টোলগোই(ইটিটি) এবং আরও দুটি সংস্থা দ্বারা খনন করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গোলিয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ইটিটী কে সরকারের ইন্ডিপেন্ডেন্ট অথরিটি এগেইনস্ট করাপশন তদন্ত করার সময়, রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
মঙ্গোলিয়ার বিশাল খনিজ সম্পদ, কয়লা এবং অন্যান্য সম্পদের বিদেশে বিক্রয়ের বিষয়টি দেশটিতে সংঘাতের একটি চিরস্থায়ী উৎস। এখানে প্রতি তিনজনের মধ্যে প্রায় একজন দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। মহামারীতে অনেক মঙ্গোলিয়ানই টিকে থাকার লড়াই করে চলেছে। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ১৫% ছাড়িয়ে গেছে।
বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র মাও কে, চীনের অভ্যন্তরে বিক্রির জন্য কয়লা চুরি করার অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তিনি এই "নির্দিষ্ট পরিস্থিতি" সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, চীন মঙ্গোলিয়ার একটি বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী এবং আমরা বিশ্বাস করি মঙ্গোলিয়ার সরকার বিষয়টি যথাযথভাবে পরিচালনা ও তদন্ত করবে। চীনা দক্ষ কর্তৃপক্ষ আইন ও বিধান অনুযায়ী মঙ্গোলিয়ার পক্ষে করা অনুরোধের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।"