অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের প্রভাব মোকাবেলায় জাপানের সাথে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ঠেকাতে জাপানকে তাদের সম্মিলিত সামরিক কার্যকলাপে একীভূত করতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং এর সাথে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে দেখা করেছেন৷
অস্টিন বলেন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ায় তার বিমান,স্থল এবং সমুদ্র বাহিনীর উপস্থিতি বাড়াবে, যার মধ্যে বোমারু বিমান এবং যুদ্ধবিমান রয়েছে।
তিনি চীনকে "পুরো ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জুড়ে বিপজ্জনক এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ড" চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
মার্লেস মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের বলেছেন যে পরিকল্পনায় জাপানকে আরও যৌথ প্রতিরক্ষা মহড়ায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মার্লেস বলেন, "এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা আমাদের অঞ্চলের মধ্যে ভারসাম্য প্রদানের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি করছি এবং আমাদের অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলিকে এতে যুক্ত করতে চাইছি এবং আমরা সেই শক্তি সহযোগিতার দৃষ্টিকোণ থেকে জাপানের সাথে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে সক্ষম হওয়ার অপেক্ষায় আছি।”
মার্লেস এবং ওং জাপানের নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য টোকিওতে যাবেন।
টম করবিন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনাইটেড স্টেটস স্টাডিজ সেন্টারের একজন গবেষণা ফেলো।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া জাপানকে আরও যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাতে পারে।
কর্বিন বলেন, "এটি অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিস্তৃত পরিসরের অনুশীলনে বৃহত্তর জাপানিদের অংশগ্রহণের মতো দেখাতে পারে, তবে এর অর্থ দীর্ঘমেয়াদী নিয়োগে জাপানি সৈন্যদের আরও নিয়মিত অংশগ্রহণও হতে পারে।"
চীন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও বাণিজ্য বিরোধের কারণে তা উত্তেজনাপূর্ণ হয়েছে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সম্পর্কের উন্নতি দেখতে আগ্রহী।