অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মুন্সিগঞ্জে ব্যাপক সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন, ৮৪ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন


মুন্সিগঞ্জে ব্যাপক সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন
মুন্সিগঞ্জে ব্যাপক সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে মুন্সীগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে সেখানে। এছাড়া, সড়ক পথে ৪০টিসহ জেলা সংলগ্ন বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও নৌপথসহ গুরুত্বপূর্ণ ৮৪টি স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। সড়কে যান চলাচল কমে গেছে।

নাশকতার আশঙ্কায় অনেকেই গাড়ি বের করছে না। লোকজনের চলাচলও কমে গেছে। গণপরিবহন না পেয়ে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পুলিশ বলছে, জনসাধারণের জানমাল রক্ষার জন্যই তারা তৎপর। দু’একটি মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে ঢাকামুখী যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে তল্লাশি শুরু হলেও শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) তা আরও জোরদার করা হয়। পুলিশ জানায়, যে কেনো ধরণের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গজারিয়া উপজেলার জামালদী, ভাটেরচর, আনারপুরা, ভবেরচর, দঁড়িবাউশিয়া, মধ্যম বাউশিয়া, পাখির মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের মোবাইল টিম, অভিযানিক টিম, স্টাইকিং ফোর্স ও নৌপুলিশের একাধিক টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।

এদিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে দিনভর পদ্মা সেতু টোল প্লাজা থেকে ঢাকামুখী কুচিয়ামোড়া সেতুর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহল শুরু হয়েছে। শ্রীনগরের ছনবাড়ি মোড়, মাওয়া চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনে তল্লাশি করছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন বলেন, “মহান বিজয় দিবস ও ৩১ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে ৬ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও নৌপথসহ ৩২ জেলার প্রবেশ দ্বার মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে ৮৪ টি চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে।”

বাস চলাচল কম

এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু কিছু বাস চলাচল করলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। দুপুরের পরে বাস চলাচল একবারেই কমে যায়। মহাসড়ক দিয়ে তেমন কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে দু-একটি বাস দক্ষিণবঙ্গ থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকার দিকে যেতে দেখা গেছে। তাও আবার পুলিশের বিভিন্ন চেকপোস্টে তল্লাশির মুখে পড়তে হতে হয়েছে। পদ্মা সেতুর উত্তর থানার মোড়ে যাত্রীদের দেখা গেছে, দক্ষিণবঙ্গ মুখী বাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

ইলিশ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আকবর জানিয়েছেন, “আমাদের কোন বাস বন্ধ নেই। আমরা মালিক সমিতির সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেই আমরা কোন বাস বন্ধ রাখবো না। তবে শুক্রবার ঢাকামুখী যাত্রী কম থাকায় বাসও ছেড়েছে কম।”

মাওয়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জিয়াউর হুদা জানিয়েছেন, “মহাসড়কে তেমন কোন যানবাহন না থাকায়, আমরা এখন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রেখে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছি। পদ্মা সেতু থানার কাছে চেকপোস্টের দায়িত্ব পালন করছি। সকাল থেকে মহাসড়কে খুব একটা যানবাহন চলাচল করছেন। মাঝে মধ্যে দু-একটি বাস আসছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। কিছু মালবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানও চলাচল করছে।”

XS
SM
MD
LG