ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া বিভিন্ন মানের রকেট লঞ্চার স্থাপন করেছে।পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী ইউক্রেনের রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এ কথা জানিয়েছে।
কোম্পানিটি জানায় যে, অস্ত্রগুলোকে “৬ নং বিদ্যুৎ ইউনিটের কাছে স্থাপন করা হয়েছে। স্থানটি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ব্যবহার করার জন্য রাখা শুষ্ক পারমাণবিক জ্বালানীর গুদাম এলাকার ঠিক পাশে অবস্থিত। এখানে তারা ইতোপূর্বে গোপনে কিছু ‘সুরক্ষামূলক স্থাপনা’ নির্মাণ করেছিল। এমন ব্যবস্থা স্থাপন, পারমাণবিক ও তেজষ্ক্রিয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থাটির সকল শর্ত লঙ্ঘন করে।”
এনেরগোঅ্যাটম বলে যে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে স্থাপিত রকেট লঞ্চারগুলোর মাধ্যমে সম্ভবত রাশিয়া, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটগুলো ও এতে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানী গুদামকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, নিপার নদীর অপর তীরে গোলাবর্ষণ করতে, বিশেষ করে নিকোপোল ও মার্গানেটস-এ গোলাবর্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এনেরগোঅ্যাটম আরও বলে যে, রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের আক্রমণের “একদম শুরু থেকেই” ঝাপোরিঝিয়াকে “সামরিক উদ্দেশ্যে” ব্যবহার করে আসছে।
এনেরগোঅ্যাটম বলেছে “এবং আবারও আমরা, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পূর্ণ বেসামরিকীকরণ ও দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে, এর ভেতরে ও আশেপাশে একটি নিরাপত্তা এলাকা তৈরির আহ্বান জানাচ্ছি।”
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বৃহস্পতিবার তার প্রাত্যহিক বক্তব্যে বলেন যে, খেরসন অঞ্চলে বুধবার রুশ মাইনে প্রাণ হারানো চার পুলিশ সদস্যকে মরণোত্তর সম্মানে ভূষিত করার আদেশে তিনি স্বাক্ষর করেছেন।
প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি বলেন, “খেরসন অঞ্চলে দখলদারদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরিয়ে যখন তারা তাদের কাজ শেষ করে ফিরে আসছিলেন, তখন ঐ পুলিশ সদস্যরা একটি মাইন-এর ফাঁদে পড়েন। এবং এটিই হল রুশ সন্ত্রাসের সেই রূপ যা আগামী অনেক বছর ধরে মোকাবেলা করতে হবে।”