প্রখ্যাত একজন পাকিস্তানি সাংবাদিকের নাইরোবিতে হত্যার তদন্তের জন্য পাকিস্তান সরকার কর্তৃক গঠিত একটি দল বলেছে, তারা কেনিয়ার কর্তৃপক্ষের দেয়া বক্তব্যে বেশ কিছু বৈপরীত্য খুঁজে পেয়েছে এবং তারা বিশ্বাস করে যে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
টিভি সাংবাদিক আরশাদ শরীফ, যিনি নিজের জীবননাশের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাকে অক্টোবরে নাইরোবিতে গুলি করে হত্যা করা হয়।কেনিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি ভুলক্রমে হয়ে যাওয়া একটি ঘটনা এবং যে গাড়ি চোররা তার গাড়ির ওপর গুলি চালিয়েছিল পুলিশ তাদেরকে খুঁজছে।
পাকিস্তান থেকে দুই সদস্যের একটি তথ্য অনুসন্ধানী দল কেনিয়ায় গিয়ে বেশ কিছু সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। তারা অকুস্থলের ঘটনাটি পরীক্ষা করে পুনর্গঠন করে এবং নিহত ব্যক্তির ফোন ও কম্পিউটার পরীক্ষা করে ৬০০ পৃঠার একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীফের হত্যাকাণ্ড একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “[তথ্য অনুসন্ধানকারী দলের] উভয় সদস্যেরই বক্তব্য, এটি ভুল পরিচয়ের ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।” প্রতিবেদনটির অনুলিপি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “খুবই সম্ভব যে, থেমে থাকা গাড়িতে সঠিকভাবে লক্ষ্য স্থির করে গুলি চালানো হয়েছিল।”
কেনিয়ার ন্যাশনাল পুলিশ সার্ভিসের মুখপাত্র রেসিলা ওনিয়াঙ্গো বলেছেন, “বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন, তাই আমি খুব বেশি কিছু বলতে পারছি না।”
প্রতিবেদন প্রকাশের আগে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছিলেন, শরীফের শরীরে আঘাত এবং নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। এগুলো লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিত করে হত্যার ইঙ্গিত দেয়।