মানবাধিকার দিবসের আগের সন্ধ্যায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে একটি বছরব্যাপী কর্মসূচি আরম্ভ করেন।
টার্ক বলেন যে, তিনি আশা করেন এই কর্মসূচিটি মানুষজনের সচেতনতা ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার নবায়ন করবে এবং ঘোষণাপত্রটি যেই দর্শন নিয়ে করা হয়েছিল তা পুনরুদ্দীপ্ত করবে।
তিনি বলেন যে, মানবাধিকার লঙ্ঘন সবার জন্যই উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিৎ। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিস্মিত হওয়ার অভিব্যক্তি প্রকাশ ও সহায়তার প্রস্তাবগুলো, ইউক্রেন যুদ্ধ বা ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বিক্ষোভকারীদের অনুমোদিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মত, শুধুমাত্র শিরোনামে আসা হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকা যাবে না।
হাইকমিশনার বলেন যে, তার ভাষ্যমতে ভুলে যাওয়া সংকটগুলোতে, মানুষের ভোগান্তি অজানা থাকলে চলবে না। তিনি এ বিষয়ে হাইতিতে সংঘবদ্ধ চক্রগুলো কর্তৃক অনেককে হত্যা ও অপহরণ ও সেখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্ষুধার সম্মুখীন থাকা ছাড়াও ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, মোজাম্বিক ও অন্যান্য দেশের মানবিক বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করেন।
টার্ক বলেন, “এগুলো এবং অন্যান্য আরও অনেক সংকটময় পরিস্থিতি, যেগুলো কিনা আর শিরোনাম হয় না - যারা সেগুলোতে সরাসরি আক্রান্ত শুধুমাত্র যে তাদের উপর সেগুলোর প্রভাব রয়েছে তা নয়, বরং সম্ভাবনা রয়েছে যে, সীমান্ত পেরিয়েও সেগুলোর প্রভাব পড়বে, এবং তাতে ঐ অঞ্চলগুলোর আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠার ঝুঁকি রয়েছে। সেগুলো এবং অন্যান্য আরও অনেক সংকটের মধ্যে যে অভিন্ন বিষয়টি রয়েছে সেটি হল, মানবাধিকারের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন।”
টার্ক সতর্ক করেন যে, বিশ্ব আস্থার সংকটের সম্মুখীন হয়েছে এবং সামাজিক আন্দোলন ও সব অঞ্চলজুড়েই প্রতিবাদ এমন ইঙ্গিত দেয় যে, যে সব প্রতিষ্ঠানের মানুষজনকে সেবা দেওয়ার কথা সেগুলো ভেঙে পড়ছে।
তিনি বলেন যে, সর্বজনীন ঘোষণাপত্রটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত নীতিগুলো মেনে চললে সমাজ আবারও একটি উন্নত ভবিষ্যতের পথে আসতে পারে। এটি এমন এক ভবিষ্যৎ যা কিনা ন্যায়বিচার ও সকলের জন্য সমতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।