সাতদিনের মধ্যে তথ্য প্রদানের জন্য, হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ । সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) এ নির্দেশ দেন তিনি।
চারটি তথ্য জানতে চেয়ে শোয়েব চৌধুরী গত ১৬ আগস্ট হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী ও তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের বরাবরে তথ্য অধিকার বিধিমালা অনুযায়ী আবেদন করেন। ঐ আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪ আগস্ট নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ মামুন সরদার চারটির মধ্যে তিনটি তথ্য প্রদান করেন। একটি তথ্য না দেওয়ার পেছনে তিনি ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে তথ্য অধিকার আইনের ধারা উল্লেখ করে তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান।
আংশিক তথ্য দেওয়ায়, শোয়েব চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম ইকবালের কাছে আপিল করেন। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার চাওয়া তথ্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। এর সঙ্গে সরকারি অর্থ ফাঁকি দেওয়ার প্রচেষ্টা যুক্ত রয়েছে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য ‘ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করে’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটা আদালতে বিচারাধীন বিষয় হলেও এ তথ্য প্রকাশে আদালতের নিষেধাঞ্জা নেই; এবং এটি প্রকাশে কোনভাবেই আদালত অবমাননার কারণ হবে না। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন তদন্ত চলমান নেই, এবং থাকলেও এই তথ্য তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটাবে না, বরং তদন্তকে বেগবান করবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীও এ সংক্রান্ত কোন তথ্য দেননি।
এ বিষয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায়, তথ্য কমিশনে প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন শোয়েব চৌধুরী।গত ২৩ নভেম্বর উভয় পক্ষকে সমন দেয় তথ্য কমিশন। সমনে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী রবিবার (১১ ডিসেম্বর) ভার্চুয়্যাল প্লাটফরমে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানিতে বাদী শোয়েব চৌধুরী এবং বিবাদী সহকারি প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান চৌধুরী তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। শুনানি শেষে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ সাতদিনের মধ্যে সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরীর চা্ওয়া তথ্য প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেন।
