অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অনলাইনে মুসলিম নারীদের 'নিলামে তোলা' ভারতীয় পুরুষ বিচারের মুখোমুখি


দিল্লির একজন মুসলিম পাইলট হানা খান, বাম দিকে, এবং নূর মাহভিশ, একজন কলকাতা-ভিত্তিক মুসলিম আইনজীবী ও সক্রিয় কর্মীকে, "নিলামের" জন্য একটি অনলাইন অ্যাপে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। প্রকৃত লেনদেনের জন্য অনুমতি দেওয়ার পরিবর্তে এটির লক্ষ্য ছিল মুসলিম নারীদের অবমূল্যায়ন এবং অপমান করা।
দিল্লির একজন মুসলিম পাইলট হানা খান, বাম দিকে, এবং নূর মাহভিশ, একজন কলকাতা-ভিত্তিক মুসলিম আইনজীবী ও সক্রিয় কর্মীকে, "নিলামের" জন্য একটি অনলাইন অ্যাপে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। প্রকৃত লেনদেনের জন্য অনুমতি দেওয়ার পরিবর্তে এটির লক্ষ্য ছিল মুসলিম নারীদের অবমূল্যায়ন এবং অপমান করা।

ভারতের পুলিশ জানিয়েছে, তারা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এমন একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন, যেখানে তিনি অনলাইনে "নিলামের" জন্য ৮০ জনেরও বেশি মুসলিম নারীর ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য তালিকাভুক্ত করেছেন।

দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা আদালতে ২৫ বছর বয়সী অমকারেশ্বর ঠাকুরের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পর রবিবার দিল্লি পুলিশ এই ঘোষণা দেয়।

একটি সহযোগী টুইটার হ্যান্ডেল দিয়ে, ঠাকুর ওপেন সোর্স অ্যাপ্লিকেশন "সুলি ডিলস" তৈরি করেন। যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে "বিক্রয়" বা "নিলামের জন্য" মুসলিম নারীদের প্রোফাইল ওয়েব প্ল্যাটফর্ম গিটহাবে পোস্ট করে।

"সুলি" একটি অশ্লীল অবমাননাকর হিন্দি গালি যা ডানপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীগুলি কখনও কখনও মুসলিম নারীদের বিব্রত করার জন্য ব্যবহার করে।

অনলাইন নিলাম সাইটগুলির একটি স্পুফ, ঠাকুরের অ্যাপটি কোনও ধরণের প্রকৃত লেনদেনের অনুমতি দেয়নি, বরং এর পরিবর্তে এটির লক্ষ্য ছিল কেবল মুসলিম নারীদের অবমূল্যায়ন এবং অপমান করা। আদালতের নথি অনুসারে, ঠাকুর সাংবাদিক, কর্মী, গবেষক, শিল্পী এবং নরেন্দ্র মোদীর সরকারের অধীনে ডানপন্থী হিন্দু ক্রিয়াকলাপের অন্যান্য সমালোচকসহ নারীদের সর্বজনীনভাবে প্রাপ্ত ছবি সংগ্রহ করে, "দিনের ডিলস" হিসাবে পোস্ট করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রোফাইল তৈরি করে।

জানুয়ারী মাসে, ঠাকুর নামের এই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে, মধ্য ভারতের ইন্দোর শহর থেকে দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করে । তাকে "রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের" অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। যার বিচারের জন্য সরকারের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন হয়।

সুলি ডিলস-এ প্রদর্শিত একজন ,কলকাতা-ভিত্তিক আইনজীবী ও কর্মী নূর মাহভিশ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, "ভারতের সাম্প্রদায়িকভাবে মেরুকরণের পরিবেশে মুসলিম নারীদের অনলাইনে বিব্রত করা বৃদ্ধি পেয়েছে। "

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন মুসলিম নারী মৃত্যু ও ধর্ষণের হুমকির মুখেও পড়েছেন। প্রায়শই এ ধরণের ঘৃণা প্রসূত আক্রমণ চালাচ্ছে ডানপন্থি হিন্দু গোষ্ঠীগুলি ।

XS
SM
MD
LG