অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোভিডের গতিবিধি নির্ণয় ‘অসম্ভব’; বলেছে চীন


মাস্ক পরিহিত একজন নারী রাস্তায় তার ল্যাপটপের দিকে তাকাচ্ছেন। চীনের সাংহাইয়ে কোভিডের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত রয়েছে।
মাস্ক পরিহিত একজন নারী রাস্তায় তার ল্যাপটপের দিকে তাকাচ্ছেন। চীনের সাংহাইয়ে কোভিডের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার চীনের শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, দেশটিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা এখন নির্ণয় করা ‘অসম্ভব’। কর্মকর্তারা সতর্ক করে দেন যে, সরকার হঠাৎ করে জিরো কোভিড নীতি পরিত্যাগ করার পরে বেইজিং-এ সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে।

প্রায় ৩ বছর ধরে ভাইরাসটি নির্মূল করার প্রচেষ্টার পরে মাস টেস্টিং এবং আইসোলেশন বাতিল করার বেইজিং-এর সিদ্ধান্ত সরকারী ভাবে রিপোর্ট করা সংক্রমণের হার হ্রাসের দিকে যাচ্ছিল; গত মাসে এই হার সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

তবে এই সংখ্যাগুলো বাস্তবতাকে আর প্রতিফলিত করে না কারণ দেশের বেশিরভাগ স্থানে টেস্ট আর অত্যাবশ্যকীয় নয়। বুধবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) এ কথা জানায়।

চীনের নেতারা সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যদিও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সংক্রমণের হার বাড়তে পারে এবং তা মোকাবিলা করার জন্য দেশটি প্রস্তুত নয়। ঝুঁকিতে থাকা লক্ষ লক্ষ প্রবীণকে এখনো টিকার সবগুলো ডোজ দেয়া হয়নি। এছাড়া সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বল্প তহবিলযুক্ত হাসপাতালে সংস্থান নেই।

বুধবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীসহ কিছু দুর্বল গোষ্ঠীকে প্রথমটি নেয়ার ছয় মাস পরে দ্বিতীয় বুস্টার নেয়ার অনুমোদন দেয়া শুরু করবে।

কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন বেইজিং

রেস্তোরাঁ, দোকান এবং পার্কগুলো এখন আবার খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে তবে নাগরিকরা ভাইরাসকে মোকাবিলা করে সহজে বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।

কোভিডের উপসর্গ দেখা দিয়েছে এরকম অনেকেই বাড়িতে বসে নিজে নিজে চিকিৎসা নিচ্ছেন; অন্যরা সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য বাড়িতে অবস্থান করছেন।

কোভিড-১৯ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় এবং কর্মীরাও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় ব্যবসাবাণিজ্য বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।

ফলে রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা।

XS
SM
MD
LG