শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে চলমান দমন অভিযান এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি দমনমূলক ও বৈষম্যমূলক নীতির জন্য বুধবার ইরানকে জাতিসংঘের একটি নারী সংস্থা থেকে ভোটের মাধ্যমে বাদ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড ২২ বছর বয়সী ইরানী নারী মাহসা সম্পর্কে বলেছেন,“মাহসা আমিনী শুধু পড়াশোনা শেষ করতে চেয়েছিলেন। তিনি পারিবারিক জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন। তিনি একটি স্বাভাবিক, সুখী জীবনযাপন করতে চেয়েছিলেন। তিনি শুধু একজন ছাত্রী ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি একজন শহীদ।”
মাহসা হচ্ছেন সেই নারী যাকে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ দ্বারা গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক মাসের বিক্ষোভ জন্ম নেয়।
টমাস-গ্রিনফিল্ড আমিনি সম্পর্কে বলেছেন, "আমরা জানি একজন নারী হওয়ার অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং খুব দীর্ঘ সময় ধরে, প্রায়শই এ রকমটি ঘটে, এটি ইরানে এমন কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।"
২৯টি হ্যাঁ ভোট, ৮টি না ভোট এবং ১৬টি অনুপস্থিতি ভোটে, ৫৪ সদস্যের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল অবিলম্বে নারীদের অবস্থার কমিশনের বাকি মেয়াদের জন্য ইরানকে অপসারণের অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছে। এই কমিশনের মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। কমিশন প্রতি মার্চ মাসে দুই সপ্তাহের জন্য বৈঠক করে থাকে নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতা অর্জনের বিষয়ে আলোচনার জন্য।
অধিকার গোষ্ঠীগুলি জবাবদিহিতার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে নারী কমিশন থেকে ইরানের বহিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছে তবে আরও কিছু করা দরকার বলে জানিয়েছে।
তিন মাসের বিক্ষোভে ৬০ জন শিশুসহ অন্তত ৩৫০ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছে। আরও ১৪০০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং এই মাসে দুই পুরুষ প্রতিবাদকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।