যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য তারা জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সুপারিশ বিবেচনা করবে।
দেশটি বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছে, এই কর্মসূচিটি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিস্তৃত প্রতিক্রিয়ার একটি উপাদান, যেখানে প্রধান ফোকাস রোহিঙ্গাদের স্বদেশে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা। যা বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের অংশ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘বার্মার (মিয়ানমার) সামরিক বাহিনীর হাতে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শিকার হওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত এবং আমরা বাংলাদেশ ও ওই অঞ্চলে বার্মা থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ১৯০ কোটি (১ দশমিক ৯ বিলিয়ন) ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছি’।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং এই নৃশংসতার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন একটি অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতি সংকটের মুখে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে। কারণ বিশ্বজুড়ে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অস্থিতিশীলতা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।