ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের নার্সরা বৃহস্পতিবার ধর্মঘট পালন করেছে। এটি তাদের প্রথম জাতীয় ওয়াকআউট।বেতন নিয়ে সরকারের সাথে একটি তিক্ত বিরোধের ফলে এই ধর্মঘট করেছে তারা। বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়ে ইতোমধ্যেই জণাকীর্ণ থাকা হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়ছে।
আনুমানিক এক লাখ নার্স ৭৬টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ধর্মঘট করবে। এর ফলে ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এনএইচএস-এ আনুমানিক ৭০ হাজার অ্যাপয়েন্টমেন্ট, অপারেশন এবং সার্জারি বাতিল হবে।
এই শীতে ব্রিটেন শিল্পগোষ্ঠীগুলোর প্রতিবাদের মুখোমুখি হচ্ছে। ধর্মঘট রেল এবং ডাক পরিষেবাকে পঙ্গু করছে, বড়দিনের ছুটিতে বিমানবন্দরগুলোর কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
১০ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি চলছে, কিন্তু মাত্র ৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছেএর ফলে ইউনিয়ন এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।
তবে সমস্ত ধর্মঘটের মধ্যে নার্সদেরকেই পিকেট লাইনে দেখা যাচ্ছে যা এই শীতে অনেক ব্রিটিশের জন্য ব্যতিক্রমী চিত্র হবে।
“কি একটা দুঃখজনক দিন।এটি নার্সিংএর জন্য একটি দুঃখজনক দিনে, এটিরোগীদের জন্য একটি দুঃখজনক দিন, এই ধরনের হাসপাতালের রোগীদের জন্য এবং এটি এই সমাজের মানুষের জন্য এবং আমাদের এনএইচএসের জন্য একটি দুঃখজনক দিন।”
বৃহস্পতিবার রয়্যাল কলেজ অফ নার্সিং (আরসিএন) ইউনিয়নের প্রধান প্যাট কুলেন পিকেট লাইনে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বলেছেন, ধর্মঘট যেভাবে অব্যাহত থাকছে তা খুবই দুঃখজনক।
বার্কলে বলেছেন, রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা চাওয়া চালিয়ে যেতে হবে এবং তাদেরকে নিষেধ করা না হলে অ্যাপয়েন্টমেন্টে সেবা নিতে হবে।