অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের ‘জিরো কোভিড’ থেকে পশ্চাদপসরণের ফলে টিকা কার্যক্রম শুরু; এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে জনজীবন


চীনের বেইজিং-এ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে লোকজন একটি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকের লাইনে দাঁড়িয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২।
চীনের বেইজিং-এ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে লোকজন একটি হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকের লাইনে দাঁড়িয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২।

কোভিড-১৯ সংক্রমণের আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার চীন তাদের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের টিকা দেয়া শুরু করেছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, কঠোর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার পরে চীনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে। এই কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে ৩ বছর ধরে মহামারিটি চীনকে সেভাবে কাবু করতে পারেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, চীনের ১৪০ কোটি জনসংখ্যাকে পর্যাপ্তভাবে টিকা দেয়া হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্র সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিল।

গত বুধবার থেকে বেইজিং তাদের ‘জিরো কোভিডের’ কঠোর নিয়ন্ত্রণগুলো ভেঙে দিতে শুরু করেছে, পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা বাদ দিয়েছে এবং কোয়ারেন্টিনের নীতিগুলো শিথিল করেছে। নিয়মগুলো চীনের লাখ লাখ মানুষের জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছিল এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে আঘাত করেছিল।

নজিরবিহীন ব্যাপক এক বিক্ষোভের পরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর স্বাক্ষরিত ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু ডব্লিউএইচওর জরুরি পরিচালক মাইক রায়ান বলেন, চীনে সরকারের কঠোর নিয়মাবলী পর্যায়ক্রমে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় শহর উহানে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চীন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার জন্য এখন তাদের মূল্য দিতে হতে পারে। কারণ চীনের বাসিন্দাদের ‘হার্ড ইমিউনিটি’ গড়ে ওঠেনি এবং প্রবীণদের মধ্যে টিকা দেয়ার হার কম।

বৃহস্পতিবারে পাওয়া উপাত্ত অনুযায়ী, চীনের অর্থনীতি নভেম্বরে আরও শ্লথ হয়েছে কারণ কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধি ধীর হয়ে গেছে এবং খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে। মে মাসের পরে এটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ।

অর্থনীতিবিদরা অনুমান করছেন, এই বছর চীনের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩ শতাংশে নেমে এসেছে যা প্রায় অর্ধ শতাব্দীতে চীনের নিম্নতম প্রবৃদ্ধির চিহ্ন।

XS
SM
MD
LG