কাবুলের একটি গেস্টহাউজে, এই সপ্তাহের চালানো ইসলামিক স্টেট-এর(আইএস)হামলার পর, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন যে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর যোদ্ধা নিয়োগ করে বাহিনী গঠন করছে।এটা প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলছে। আর, এই হুমকি নিরসনে,তালিবানের উচিৎ আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়া।
এদিকে, তালিবান দাবি করেছে যে তারা আফগানিস্তানে শান্তি পুনঃস্থাপন করেছে। তার পরও ইসলামিক স্টেট-খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি) হিসেবে পরিচিত আইএস এর একটি স্থানীয় শাখা, গত এক বছরে আফগানিস্তানের বেশ কিছু শহরে কয়েকটি বড় মাপের সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা করেছে।
সোমবার আইএস যোদ্ধারা কাবুলের একটি হোটেলে হানা দেয়। এ হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হন ও আরও কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্য পাঁচজন চীনের নাগরিকও ছিলেন।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, আফগানিস্তানের বেশিরভাগ আইএস যোদ্ধাই জাতিগোষ্ঠী ভাবে পশতুন।আর, এরা আফগানিস্তান-পাকিস্তান অস্থির সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দা, যাদের অনেকেরই তালিবান-সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
তবে, গতবছর তালিবান ক্ষমতা দখলের পর, এমন উদ্বেগ দেখা দেয় যে, আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর কিছু সাবেক সদস্য তালিবানের নিপীড়ন এড়াতে আইএস-এ যোগ দিচ্ছেন।
সোমবারের হামলা এবং জুনে কাবুলের এক শিখ মন্দিরে হামলার ঘটনা-সহ, আফগানিস্তানে আইএসকেপি’র সাম্প্রতিক হামলাগুলো দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে যে, এগুলোতে এমন যোদ্ধারা জড়িত যারা পার্শ্ববর্তী মধ্য এশিয়ার দেশগুলো থেকে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র এই সপ্তাহে ভিওএ-কে বলেন, “আফগানিস্তানে আইএস একটি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিদ্যমান। আর, তারা তাদের বেশিরভাগ সদস্য আফগানিস্তান থেকেই সংগ্রহ করে।”
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে প্রথম আইএসকেপি’র আবির্ভাব ঘটে। ২০১৯ সালের শেষদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের তৎকালীন সরকার ঘোষণা দেয় যে, যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে শত শত যোদ্ধা নিহত হওয়ার পর, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে।
তা সত্ত্বেও, আইএসকেপি টিকে থাকে এবং এমনকি ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরে এক আত্মঘাতী হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ১৩ জন সদস্যের প্রাণহানি ঘটাতে সক্ষম হয়।সেটিই ছিল আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ হতাহতের ঘটনা।