একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এসব কথা বলেন, তাঁদের জরুরি অবস্থার সরকার, সামরিক শাসক আসে, তাহলে ভালো লাগে। তাঁদের একটু দাম বাড়ে। ঐ টুকু পাওয়ার লোভে, ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তাঁরা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়।”
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা গণভবনে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কেউ নেই। বলেন, “আমি তাদের জিজ্ঞেস করি যে গণতন্ত্রের ঘাটতি কোথায়?”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “এই স্বার্থান্বেষী মহল মনে করে ভোট কারচুপি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, যা বিএনপি-জামায়াতের আমলে খুবই স্বাভাবিক ছিল, তা গণতন্ত্রের সমার্থক শব্দ। আমি বিশ্বাস করি জনগণের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি; জনগণের আস্থা সবচেয়ে বড় শক্তি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। আমি জানি না যারা গণতন্ত্র খুঁজছেন, তারা অবশ্যই চোখে দূরবীন ব্যবহার করছেন। আমি তাদের একটি প্রশ্ন করি, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে অন্য বছর ছাড়া, দেশে গণতন্ত্র কোথায় ছিল?”
জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে সেনানিবাসের হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, “ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেশ শাসিত হয়েছিল, তাহলে গণতন্ত্র বা জনগণের শক্তি কোথায় ছিল?”
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সরকার পরিচালিত হওয়ায় দেশ ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ‘যে বাংলাদেশ সন্ত্রাস, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, সে দেশ এখন গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় এসব পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন পায়। আওয়ামী লীগ সবসময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে।”