অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অস্ট্রেলিয়ার জনগণ বন্যাকে মেনেই বড়দিন উদযাপন করবে


ফাইল:স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস (এসইএস) কর্মীরা অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য পশ্চিম অঞ্চলের ফোর্বস শহরে একটি ওয়াটারক্রাফটে বাসিন্দাদের নিয়ে বন্যার পানিতে চলাচল এবং সরবরাহ পরিচালনা করছে , ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ।
ফাইল:স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস (এসইএস) কর্মীরা অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্য পশ্চিম অঞ্চলের ফোর্বস শহরে একটি ওয়াটারক্রাফটে বাসিন্দাদের নিয়ে বন্যার পানিতে চলাচল এবং সরবরাহ পরিচালনা করছে , ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ।

দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বন্যা ১৯৫৬ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সরকারী বিশ্লেষণে ,জলের সর্বোচ্চ উচ্চতার সময় এ রকম পরিস্থিতি অনুমান করা হচ্ছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি প্লাবিত হবে বলেই ধারণা । এই সপ্তাহে অস্ট্রেলীয় সামরিক বাহিনীকে বন্যার প্রস্তুতিতে সহায়তা করার জন্য আনা হয়।

বন্যার পানি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার দিকে সরে আসলে এটিকে একটি ধীর গতির দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হছে।

গত তিন বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য কুইন্সল্যান্ড, নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে এই বন্যা দেখা দিয়েছে। এই রাজ্যগুলি ব্যাপক বন্যা এবং বৃষ্টিপাতের বেকর্ড ভাঙ্গার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।

সেই জলের অনেকটাই ধীরে ধীরে বয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার মারে নদীতে। শত শত ঘরবাড়ি ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়েছে যে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে ।

একজন লুথেরান যাজক জন গেরহার্ডি এমন অঞ্চলে রয়েছেন যেখানে ক্রিসমাস এবং নতুন বছরের প্রাক্কালে বন্যার জল বাড়তে পারে।

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন, বড়দিন পরবর্তী দিনগুলোর কথা ভেবে তারা অস্বস্তি আর উদ্বেগের মধ্যে আছেন । তারা এ বছর একটু আলাদাভাবে ক্রিসমাসের আনন্দ উপভোগ করবেন, তবে তা অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা পরিবর্তনশীল হবে।

দুটি জলবায়ু ঘটনা, লা নিনা - প্রশান্ত মহাসাগরের অংশগুলির শীতলকরণ - এবং ভারত মহাসাগরের দ্বিমেরু - পূর্ব ও পশ্চিম ভারত মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান – বন্যা প্রবণতা বাড়িয়ে তুলছে।অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে গড়ের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত করেছে এবং বিশেষজ্ঞরা এর কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ি করছেন।

তবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব মেটেরোলজি গত ৬ ডিসেম্বরের এক হালনাগাদ তথ্যে জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরের দ্বিমেরু নিরপেক্ষ অবস্থায় ফিরে এসেছে।

ধারণা করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লা নিনা অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ুকে প্রভাবিত করবে।

সিডনি তার রেকর্ডপরিমাণ সবচেয়ে আর্দ্র বছরটিতে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় এই শহরে দুই মিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যা ১৯৫০ সালের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

XS
SM
MD
LG