অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে আন্তরিকতার অভাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন


সিলেটে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২।
সিলেটে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব।” রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটে, সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আব্দুল মোমেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন দেশকে বলেছি কিছু লোক নিয়ে যান। সে কাজ স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী রোহিঙ্গারা তাদের নিজের দেশে ফেরত যাবে। আব্দুল মোমেন বলেন, “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের একার কাজ নয়। বিশ্ব নেতাদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। আর এতে করেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে।”

এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দারিদ্র একটা অভিশাপ। সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্রসীমায় বসবাসকারীদের হার তিন শতাংশের নিচে নিয়ে আসার কাজ চলছে।”

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা অনেক আগ থেকেই তা লক্ষ্য করে আসছি। সেটাকে নিরুৎসাহিত করতে আমরা একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা শিগগিরই একটা সমাধান বের করবেন। রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন এবং আমাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন, সেই ব্যবস্থা করবেন।”

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ‘বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন শৃঙ্খলা’ সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা শেষে এ কথা জানান আসাদুজ্জামান খাঁন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। (ফাইল ছবি)
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। (ফাইল ছবি)

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশ নিয়ে আমরা কাজ করছি। তাদের দক্ষতা বাড়ানো, বিশেষ করে তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়ে কিংবা তাদের জীবিকা অর্জনে যা যা করা দরকার, তা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন এনজিও, সরকার, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সহ সবাই কাজ করছে।”

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ, কত জন রোহিঙ্গা-কে বাংলাদেশ থেকে নিতে চায় জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিজেদের ভিসা দিয়েই বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের নিচ্ছে। বছর তিনেক আগে আমার সঙ্গে জাতিসংঘে নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি তখন রোহিঙ্গাদের নেওয়ার জন্য উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন। সভায় জানতে পারলাম তিনি মাত্র সাতজন নিয়েছেন। আর অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ২৪। এটা সংখ্যায় খুবই কম। এ নিয়ে কথা বলে সবার মনোযোগ টানতে চাই না।”

XS
SM
MD
LG