অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উত্তর কোরিয়ার হুমকি;দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বিমান


যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বোমারু বিমান, সি-১৭ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি যৌথ বিমান মহড়ার সময় কোরীয় উপদ্বীপের উপর দিয়ে উড়ে যায়, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২।
যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বোমারু বিমান, সি-১৭ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনীর এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি যৌথ বিমান মহড়ার সময় কোরীয় উপদ্বীপের উপর দিয়ে উড়ে যায়, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের "বর্ধিত প্রতিরোধ" নিদর্শনের অংশ হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে এসে পরমাণু-সক্ষম বি -৫২ কৌশলগত বোমারু বিমান এবং এফ -২২ স্টিলথ ফাইটার জেটগুলি উড়িয়েছে।

সোওলের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এফ-৩৫এ এবং এফ-১৫কে যুদ্ধ-বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ জেজু থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা সনাক্তকরণ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত যৌথ বিমান মহড়ায় অংশ নেয়।

উত্তর কোরিয়া এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সামরিক হুমকি বাড়িয়েছে। ফলে সর্বসাম্প্রতিক এই উদ্যোগের মাধ্যমে মিত্ররা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করলো।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা গত মাসে সোওলের প্রতি ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি জোরদার করতে সম্মত হন। যার মধ্যে রয়েছে যৌথ সামরিক মহড়া বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার বোমারু বিমান এবং বিমানবাহী রণতরী ইত্যাদি কৌশলগত সম্পদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির জবাবে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ওই চুক্তির কথা উল্লেখ করে বলে, মিত্ররা দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের “সম্মিলিত প্রতিরক্ষা অবস্থানকে শক্তিশালী করা অব্যাহত রাখবে।”

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, উত্তর কোরিয়া মাঝারি পাল্লার এক জোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। তারা বলছে এটি "একটি গুরুত্বপূর্ণ চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার" অংশ ছিল এবং শীঘ্রই সেটি দেশের প্রথম গুপ্তচর উপগ্রহে পরিণত হবে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে দক্ষিণ কোরিয়ার সোওল ও ইনচিওন শহরের এক জোড়া লো-রেজোলিউশন, সাদা-কালো ছবি প্রকাশ করেছে, যা সম্ভবত পরীক্ষার সময় উতক্ষেপণ করা নকল উপগ্রহ থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন, উত্তর কোরিয়ার চিত্রগুলি বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ উপগ্রহ চিত্রগুলির তুলনায় অনেক নিম্ন মানের।

মঙ্গলবার দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন, উত্তর কোরিয়ার জ্যেষ্ঠ নেতা কিম ইয়ো জং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে একটি সম্পাদকীয় পোস্ট করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্লেষকদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে তাদের "চড়ুইপাখি," "সামরিক গুণ্ডা" এবং "পুতুল বিশেষজ্ঞ" বলে সমালোচনা করেন। তিনি আরও বলেন, যে উত্তর কোরিয়া যদি চাইতো তবে আরও অত্যাধুনিক উপগ্রহ চিত্র তৈরি করতে পারত।।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কয়েক মাস ধরে সতর্ক করে দিয়ে আসছে যে, উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালের পর থেকে তাদের সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

XS
SM
MD
LG