অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

৪ বছর পর আকস্মিকভাবে নীরব হয়ে গেল নাসার মঙ্গল অবতরণ যান


নাসা থেকে প্রাপ্ত এই ছবিটি মঙ্গলগ্রহে পারসিভেরেন্স রোভারের প্রথম ড্রাইভের সময় তোলা হয়েছিল, ৪ মার্চ, ২০২১ । ফাইল ছবি
নাসা থেকে প্রাপ্ত এই ছবিটি মঙ্গলগ্রহে পারসিভেরেন্স রোভারের প্রথম ড্রাইভের সময় তোলা হয়েছিল, ৪ মার্চ, ২০২১ । ফাইল ছবি

লাল ধূলিকণার রেখার চিত্রটিই নাসার ইনসাইট ল্যান্ডারের পাঠানো শেষ চিত্র হতে পারে বলে জানা গেছে। এটি মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর চার বছর পরে নীরব হয়ে গেছে।

সৌর প্যানেলগুলিতে ধূলিকণার প্রলেপ পড়ায় এই অবতরণ যানের বিদ্যুতের মাত্রা কয়েক মাস ধরে হ্রাস পাচ্ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গ্রাউন্ড কন্ট্রোলাররা জানতেন এর আয়ু শেষ হতে যাচ্ছে। তবে নাসা রিপোর্ট করেছে, রবিবার ইনসাইট অপ্রত্যাশিতভাবে পৃথিবী থেকে যোগাযোগে সাড়া দেয়নি।

নাসা সোমবার গভীর রাতে বলেছে “ অনুমান করা হচ্ছে যে, ইনসাইট সম্ভবত তার কর্মক্ষমতার শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে। তবে এটা জানা যায়নি যে কি কারণে তার শক্তির পরিবর্তন ঘটেছে।“ তারা আরও জানায়, এটির সাথে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছে বৃহস্পতিবার।

দলটি ইনসাইটের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

ইনসাইট ২০১৮ সালে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করে। এটিই ছিল প্রথম মহাকাশ যান যা মঙ্গলগ্রহে ভুমিকম্প নথিবদ্ধ করতে সক্ষম হয়। ফরাসি-নির্মিত সিসমোমিটারের মাধ্যমে এটি ১,৩০০ টিরও বেশি ভূমিকম্প সনাক্ত করেছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্কাপিণ্ডের আঘাতে ঘটেছে। নাসার মতে, এই বছরের শুরুর দিকে ইনসাইট দ্বারা প্রাপ্ত সাম্প্রতিক মার্সকোয়েক বা ভুমিকম্পের খবর পাওয়া যায় যাতে সবচেয়ে বেশি মাত্রায়, কমপক্ষে ছয় ঘন্টা ধরে মাটি কাঁপছিল।

ঠিক গত সপ্তাহেই, বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেছিলেন, ইনসাইট প্রথমবারের মতো আরও একটি মার্শিয়ান ডাস্ট ডেভিলের ছবিই শুধু নয় বরং এর শব্দও ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রায় দুই বছর আগে মঙ্গলের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য রাখা জার্মান খনন যন্ত্রটিকে নাসা বাতিল ঘোষণা করে।

XS
SM
MD
LG