ইরানি পরিচালক আসগর ফরহাদি, মঙ্গলবার, তিন মাসের প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন করার কারণে গ্রেপ্তারের পর অভিনেত্রী তারনেহ আলিদুস্তির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তারনেহ , তার পরিচালিত চারটি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
৩৮ বছর বয়সী আলিদুস্তিকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি প্রচারমাধ্যমে জানানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে, মাহসা আমিনির মৃত্যুর ফলে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলির একটি স্ট্রিং তৈরি সহ তার হিজাব অপসারণ এবং অ্যাক্টিভিস্টদের মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফরহাদি, তার অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র "দ্য সেলসম্যান" এ আলিদুস্তিকে উল্লেখযোগ্য ভুমিকায় নিয়েছিলেন। তিনি বলেন তিনি এই প্রখ্যাত অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন কারণ কেবলমাত্র সতীর্থ ইরানিদের সমর্থনের জন্য তাঁকে কারুরুদ্ধ করা হয়।
আলিদুস্তি ইরানি কর্তৃপক্ষের দমন-পীড়নে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া সবচেয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তার সাথে আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক এবং প্রচারকদেরও আটক করা হয়েছে।
পরিচালক ফরহাদি ইনস্টাগ্রামে আলিদুস্তিকে সমর্থন করে বলেন, “তিনি তার সহকর্মীদের ন্যায্য সমর্থন এবং অন্যায় শাস্তি জারির বিরোধিতার জন্য কারাগারে রয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের সমর্থন দেখানো যদি অপরাধ হয়, তাহলে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ অপরাধী।“
১৬ সেপ্টেম্বর আমিনির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি বিক্ষোভে কেঁপে উঠেছে। নারীদের জন্য ইরানের কঠোর পোশাক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নৈতিকতা পুলিশ কর্তৃক তিনি গ্রেপ্তার হন।
দেশব্যাপী অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৪ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গত মাসে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার আলিদুস্তির গ্রেপ্তারের নিন্দা করে বলেছে, “এটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ভয়ের বীজ বপন করা ও বিক্ষোভ দমনে সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে করা হয়েছে।“
আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জনের আগে আলিদুস্তি ফারহাদির প্রথম দিকের দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, "বিউটিফুল সিটি" (২০০৪) এবং " ফায়ারওয়ার্কস ওয়েন্সডে" (২০০৬)।
২০১৬ এর সেলসম্যানের অভিনয়ের আগে তিনি ২০০৯ সালে "অ্যাবাউট এলি" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যার জন্য বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালক হিসেবে ফরহাদি দ্য সিলভার বিয়ার অর্জন করে।