অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ কাউন্সিলে প্রস্তাব গৃহীত


ব্যাংককে মিয়ানমার দূতাবাসের বাইরে এক বিক্ষোভকারী মিয়ানমারের বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চি-র ছবিসহ একটি টি-শার্ট পরেেছেন, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২।
ব্যাংককে মিয়ানমার দূতাবাসের বাইরে এক বিক্ষোভকারী মিয়ানমারের বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চি-র ছবিসহ একটি টি-শার্ট পরেেছেন, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার মিয়ানমার বিষয়ে একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব পাস করে। এতে এর সামরিক জান্তাকে অবিলম্বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সহিংসতা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে বহিষ্কৃত নেত্রী অং সান সু চি এবং রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট সহ সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।

বার্মা নামে পরিচিত দেশটি ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারের উপর কাউন্সিলের প্রথম প্রস্তাব এটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর অ্যাসোসিয়েশনের পাঁচ দফা ঐকমত্যের তাত্ক্ষণিক ও সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন এবং মিয়ানমারের জনগণের গণতান্ত্রিক ইচ্ছার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

প্রস্তাবটি চীন, ভারত ও রাশিয়ার কাছ থেকে ১২টি হ্যাঁ ভোট এবং তিনটি বিরত ভোটের মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে।

১৫-সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের কিছু সদস্যের মতে, এই পদক্ষেপটি অর্জন করা কঠিন ছিল। কারণ চীন এবং রাশিয়া, দুটি স্থায়ী কাউন্সিলের সদস্য, মিয়ানমার সংকট নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কঠোর পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে।

ব্রিটিশ-খসড়া প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির পরে ব্রিটিশ জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড কাউন্সিলকে বলেন, "আজ আমরা সামরিক বাহিনীকে একটি দৃঢ় বার্তা পাঠিয়েছি, যাতে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে আমরা আশা করছি প্রস্তাবটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন হবে।"

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, "আমরা মিয়ানমারের জনগণের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তাও পাঠিয়েছি এর মাধ্যমে, আমরা তাদের অধিকার, তাদের ইচ্ছা এবং তাদের স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অগ্রগতি চাই।"

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। বুধবার প্রকাশিত এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রস্তাবটি গ্রহণ নিরাপত্তা পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে আরও কিছু করা দরকার।

XS
SM
MD
LG