অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

খুলনায় বিএনপির ৮৩৫ নেতাকর্মীর নামে ১৪ মামলা—৮৯ জন কারাবন্দী


খুলনা জেলায় চলতি মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৮৩৫ নেতাকর্মীর নামে ১৪টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৮৯ জন নেতাকর্মী কারাবন্দী রয়েছেন। এসব মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে ১১০ জন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। এ ছাড়া খুলনার আদালত থেকে ৩১ জন জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর কেডি ঘোষ রোডের স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খুলনা মহানগর শাখার আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা।

তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ মোকাবিলার নামে অভিযান চালানো হলেও প্রকৃত অর্থে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে’।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলার মধ্যে মহানগরীর ৮টি থানায় ৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানার মামলায় ৮০ জন, সোনাডাঙ্গা থানার মামলায় ৬০ জন, খালিশপুর থানার মামলায় ৫৫ জন, দৌলতপুর থানার মামলায় ৪৫ জন, খানজাহান আলী থানার মামলায় ৩০ জন, আড়ংঘাটা থানার মামলায় ৫০ জন, হরিণটানা থানার মামলায় ৪৫ জন এবং লবণচরা থানার মামলায় ৮০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘জেলার পাইকগাছা থানার মামলায় ৭০ জন বটিয়াঘাটা থানার মামলায় ৮০ জন, ডুমুরিয়া থানার দুটি মামলার একটিতে ৬০ জন ও দ্বিতীয় মামলায় ৭৫ জন এবং রূপসা থানার দুটি মামলার প্রথমটিতে ৬০ জন ও দ্বিতীয়টিতে ৪৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এসব মামলায় মহানগরীর ৪২ জন এবং জেলার ৪৭ জন নেতাকর্মী কারাবন্দী রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে খুলনার ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে পাইকগাছার চারজন, ডুমুরিয়ার দুজন, দাকোপের দুজন এবং মহানগর যুবদলের দুজন রয়েছেন’।

তিনি দাবি করেন, এসব মামলা গায়েবি, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, অবাস্তব ও কাল্পনিক।

এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির জেলা শাখার আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও মহানগর শাখার সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ফুলবাড়িগেট এলাকা থেকে বিএনপির খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ মোজান্মেল হোসেনকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে খানজাহান আলী থানা পুলিশ।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খান বলেন, ‘খানজাহান আলী থানার নিয়মিত একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’।

অপরদিকে ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বিএনপির আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফকির শরিফুল ইসলাম, যুবদলের মহানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, বিএনপির ১৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখার নেতা মোহাম্মাদ আলী।

XS
SM
MD
LG