ইরানের ইসলামপন্থী শাসকরা তাদের নৈতিকতা পুলিশ বাহিনীকে সীমিত করেছে বলে নতুন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে । সেপ্টেম্বরে দেশব্যাপী বিক্ষোভের সূত্রপাতের কারণ ছিল এই পুলিশ। তবে গবেষকরা বলছেন, এই সংকোচন সার্বজনীন নয় এবং কেবল ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করার জন্য সরকারী কৌশলের পরিবর্তনকেই তা প্রতিফলিত করছে।
অসলো-ভিত্তিক ইরান মানবাধিকার গ্রুপের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদাম ভিওএ-র সর্বশেষ ফ্ল্যাশপয়েন্ট ইরান পডকাস্টের জন্য একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, " আমাদের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে, তেহরানের মতো বৃহত্তর ইরানি শহরগুলিতে নৈতিকতা পুলিশের উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে।“
শুক্রবার ভিওএ-কে পাঠানো এক ই-মেইলে ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার গ্রুপ আবডোররাহমান বোরুমান্দ সেন্টারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রোয়া বোরুমান্দ বলেন, তিনি এমন প্রমাণ পেয়েছেন যে, ইরানের রাজধানীর কিছু ধনী এলাকায় নৈতিকতা পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি।
২২ বছর বয়সী ইরানী কুর্দি নারী মাহসা আমিনি গ্রেফতারের তিন দিন পর নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে মারা যান। একটিভিস্টদের মতে, কঠোর ইসলামি নিয়ম মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে তাকে মারধর করা হয়। তার মৃত্যুর খবরের পর থেকে
এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। এই বিক্ষোভ, ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানে ইসলামী শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি।
আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, "তারা তাদের জনসাধারণের কাছে ভয়ংকর সুনাম পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছে যা বিক্ষোভের শুরু থেকে হ্রাস পেয়েছে। এটি করার একটি উপায় হল বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা"।
ইরানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সুপ্রিম কাউন্সিল অফ কালচারাল রেভুলিউশন থেকে পুলিশের নৈতিকতা বন্ধ বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বরং এমন লক্ষণ দেখা গেছে যে ইরানের কিছু অংশে বাধ্যতামূলক পর্দা বিধি প্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে নৈতিকতা পুলিশ এবং বিচার বিভাগ উভয়ই ভূমিকা পালন করছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-র সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ইরানের কাজভিন প্রদেশের জেনারেল ও বিপ্লবী প্রসিকিউটর হিজাব পরিহিত নয় এমন নারীদের সেবা দেবার অভিযোগে পাঁচটি স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।