বাংলাদেশের ভোলা জেলার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া জ্বালানি তেলবাহী জাহাজটি ৩৬ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করা যায়নি। ফলে, মেঘনার বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বালানি তেল, দূষিত হয়েছে পরিবেশ। ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে জাহাজটি ডুবে যাওয়ায়, এই পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। হুমকীতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।
ডুবে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পরও (২৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত) ডুবে যাওয়া জাহাজটি তুলতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে পদ্মা অয়েল কোম্পানি চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে চার দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির দুই সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, “তেল পড়ায় নদীর মাছ বিপদে পড়বে।" ভোলা কোস্টগার্ড-এর স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট হাসান মেহেদী আরিফ জানান, তারা নদী থেকে তেল অপসারণে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে দুই লাখ লিটার তেল সরানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে ভোলা জেলার সদর উপজেলায় ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনা নদীতে অপর একটি জাহাজের ধাক্কায়, ১১ লাখ লিটার জ্বালানিবাহী লাইটারেজ জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ ডুবে যায়।