অভিবাসন বিষয়ে মহামারী আমলে আরোপিত সীমা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বহাল রাখছে। এর ফলে অভিবাসন প্রবক্তাদের আশাভঙ্গ হয়ে গিয়েছে, যারা ভেবেছিলেন যে এই সপ্তাহে এমন সীমাবদ্ধাতাগুলোর অবসান হবে।
মঙ্গলবার দেওয়া এক রায়ে, আদালত গত সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এর দেওয়া এক অস্থায়ী স্থগিতাদেশ বর্ধিত করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মামলাটির বিষয়ে যুক্তিতর্কের সময় ধার্য করা হয়েছে এবং বিচারপতিগণ মামলাটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্থগিতাদেশটি বহাল থাকবে।
১৯৪৪ সালের একটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আইনের পরিপ্রেক্ষিতে আরোপিত এই সীমাবদ্ধতাগুলোকে প্রায়শই টাইটেল ফোর্টি টু হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। মহামারী আরম্ভের সময়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে এই সীমাবদ্ধতাগুলো আরোপিত হয়েছিল। সীমাবদ্ধতাগুলোর আওতায় কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী ২৫ লক্ষ আশ্রয়প্রার্থীদেরকে বহিষ্কার করেছেন এবং সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থী বেশিরভাগ মানুষকেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়ানোর যুক্তিতে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন।
অভিবাসন প্রবক্তারা এই নীতির অবসানের জন্য মামলা করেন। তারা বলেন যে এটি নিপীড়ন এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসা মানুষজনের প্রতি আমেরিকা ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার পরিপন্থী। তারা এও যুক্তি দেখিয়েছেন যে, সময়ের বিবেচনায় নীতিটি অচল কারণ করোনাভাইরাসের চিকিৎসা বর্তমানে উন্নততর হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে আসল যখন সীমান্তে মেক্সিকোর দিকে হাজার হাজার অভিবাসন-প্রত্যাশী সমবেত হয়েছেন। এর ফলে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে এবং কিভাবে এসব মানুষের দেখভাল করা হবে সে বিষয়ে প্রবক্তারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠছেন।
মঙ্গলবারের আদেশটিতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়টি পর্যালোচনা করবে যে, অঙ্গরাজ্যগুলোর টাইটেল ফোর্টি টু বিষয়ে আইনী লড়াইয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ রয়েছে কিনা। কেন্দ্রীয় সরকার এবং অভিবাসন প্রবক্তারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে অঙ্গরাজ্যগুলো হস্তক্ষেপ করার জন্য অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ফেলেছে এবং যদি তারা এই অপেক্ষা নাও করত, তবু হস্তক্ষেপ করার মত যথেষ্ট যুক্তি অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে নেই।