মধ্য এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটোর প্রত্যাহারের এক বছরের বেশি সময় পরেও আফগানিস্তানের প্রতি চীনের নীতিতে নিরাপত্তা উদ্বেগ অব্যাহত ভাবে প্রাধান্য পাচ্ছে।
চীন বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে নতুন তালিবান সরকারের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। তবে আফগানিস্তান থেকে চীনের পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলে জঙ্গিদের সম্ভাব্য ছড়িয়ে পড়া, ঐ অঞ্চলে তাদের অবকাঠামো প্রকল্পের নিরাপত্তা এবং আফগানিস্তানে তাদের নাগরিকদে্রকে নিয়ে বেইজিং-এর উদ্বেগ রয়েছে।
বলখি বলেন, তালিবান চীনাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে, তালিবান “কাউকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না।”
কাবুলের পতনের আগে কয়েক বছর ধরে বেইজিং তালিবানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছিল এবং চীন হলো সেই কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি যারা ২০২১ সালের আগস্টে তালিবান দখল নেয়ার পরেও আফগানিস্তানে তাদের দূতাবাস খোলা রেখেছে।
তবে চীনে সাবেক আফগান রাষ্ট্রদূত জাভিদ আহমাদ কায়েম বলেন, তিনি “গত বছরে চীন-তালিবান সম্পর্কের বড় কোনো অগ্রগতি দেখেননি।”
কায়েম আরও বলেন, “চীন তালিবানকে স্বীকৃতি দেয়নি এবং উভয়ের মধ্যে কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক সম্পর্কের বড় পরিবর্তন হয়নি।”
১৬ মাস আগে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ দখলের পর থেকে তালিবানকে কোনো দেশ আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
আফগানিস্তানের সাবেক মন্ত্রী এবং কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হামিদুল্লাহ ফারুকি বলেছেন, “তালিবান যদি মনে করে চীন আফগানিস্তানের অবকাঠামোতে সহায়তা দেবে বা বিনিয়োগ করবে যেমনটি পশ্চিমা দেশগুলো ২০ বছর ধরে করেছিল, তাহলে তারা ভুল করবে।”