অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফরিদপুরে পদ্মার চরে ঘুড়ি উৎসবে মানুষের মিলনমেলা


ফরিদপুরে পদ্মার চরে ঘুড়ি উৎসবে মানুষের মিলনমেলা
ফরিদপুরে পদ্মার চরে ঘুড়ি উৎসবে মানুষের মিলনমেলা

আবহাওয়া ছিল বৈরি। আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। শীতের তীব্রতাও ছিল বেশ। তবুও উৎসাহে ভাটা পড়েনি ঘুড়ি প্রেমিকদের মনে।

ইংরেজি বছরের শেষ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি উৎসবে মেতে ওঠেন ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় পদ্মা পাড় এলাকার ঘুড়ি প্রেমিকরা। উৎসবটি শেষ হয় সন্ধ্যায় ফানুস উড়িয়ে ও আতশবাজি পুড়িয়ে।
‘চলো হারাই শৈশবে’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করে ফরিদপুরের ফেসবুক পেজ ‘ফরিদপুর সিটি’।

এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান ও পৌর মেয়র অমিতাব বোস।

এ উৎসবে শতাধিক ঘুড়ি ওড়ানো হয়েছে আকাশে। এর মধ্যে ছিল বাহারি রঙের বিভিন্ন আকারের ঘুড়ি।

ফরিদপুর সিটি পেজের মডারেটর ইমদাদুল হাসাস বলেন, ‘২০১২ সালে ফরিদপুর সিটি পেজ যাত্রা শুরু করে। গত পাঁচ বছর ধরে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে এই সিটি পেজ গ্রুপ থেকে। এবার ছিল ষষ্ঠ ঘুড়ি উৎসব। এর আগেও ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব হয়েছে’।

উৎসবে শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও রং-বেরঙের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন। উল্লেখযোগ্য আকৃতির ঘুড়ির মধ্যে ছিল- জাতীয় পতাকা, মাছ, ঈগল ও লেজযুক্ত ঘুড়ি প্রভৃতি।

ফরিদপুর শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থীর পদভারে উৎসব প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে ওঠে।

ঘুড়ি উৎসবে আসা শিক্ষার্থী হাসনা হেনা বলেন, ‘একটি অন্যরকম আয়োজন, এটি এমন একটি উৎসব যেখানে সব বয়সী মানুষ এক হয়েছে, একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে’।

উৎসবে ঘুড়ি নিয়ে আসা সাজাদ হোসেন বলেন, ‘আয়োজকদের অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে যে, এক দিনের জন্য হলেও আমাদের ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন’।

উৎসবে আসা ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজভি জামান বলেন, ‘আবহমান বাংলার হারিয়ে যাওয়া উৎসবগুলো পুনরায় জনপ্রিয় করে তোলার জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ’।

উৎসবে অংশ নেওয়া শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ঘুড়ির আকর্ষণীয় উপস্থাপন এবং ঘুড়ি ওড়ানোর দক্ষতার ভিত্তিতে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। রাতে ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এ আয়োজনের।

উৎসবের উদ্বোধক জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘এ জাতীয় আয়োজনকে আমাদের পৃষ্টপোষকতা দেওয়ার দরকার। যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের উৎসবের বিকল্প নেই’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব আগামীতে জেলার প্রতিটি উপজেলাতে এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে’।

XS
SM
MD
LG