বিচার বিভাগ শনিবার জানিয়েছে, ইরানের সুপ্রিম কোর্ট সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করার অভিযোগে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তার আবেদন গ্রহণ করেছে।তার মামলাটি পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে।
২৫ বছর বয়সী নূর মোহাম্মদজাদেহকে ৪ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। তেহরানের একটি হাইওয়ে গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা এবং একটি আবর্জনার পাত্রে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এটিকে "সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার" অভিযোগ হিসেবে নিয়ে, দুই মাস পরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে তার দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি দুই সপ্তাহ আগে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।
কুর্দি ইরানি নারী মাহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর পর সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া অস্থিরতায় জড়িত দু'জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। আমিনিকে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নারীদের জন্য কঠোর পোষাক বিধি না মানার কারণে নৈতিকতা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। এটিকে বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিদেশী শত্রু এবং তাদের এজেন্টদের দায়ী করেছে।
মানবাধিকার সংগঠন এইচআরএএনএ জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ৫০৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬৯ জন নাবালকও রয়েছে। এতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর ৬৬ জন সদস্যও নিহত হয়েছেন। ১৯,১৯৯ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানি কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় ৩০০ জন মানুষ এই অস্থিরতায় প্রাণ হারিয়েছেন।