ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘রাজধানী ঢাকার মালিবাগে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হবে না’।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘যেহেতু তারা অনুমতি ছাড়াই মিছিল বের করে এবং পুলিশের ওপর হামলা করে, ডিএমপি ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘সিনিয়র অফিসারসহ অনেক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন’।
গোয়েন্দা নজরদারির ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আসলে ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা খবর পেয়েছি তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে মিছিল করবে। রামপুরার আবুল হোটেলে মিছিল শুরু করে মৌচাক-মালিবাগে আসলে পুলিশ বাধা দেয়’।
সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর ঢাকার মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শনিবার পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে পুলিশ।
মামলাগুলোর মধ্যে রমনা, শাহজাহানপুর ও রামপুরা থানায় একটি করে এবং খিলগাঁও থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএমপি সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুবীর কুমার বাদী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৯১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এসআই মো. হায়াত আলী খান বাদী হয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৭৩ জন নেতাকর্মী এবং ৮০০ থেকে ৯০০ অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
রামপুরা থানায় এসআই মারুফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রায় ৬৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মোট ১৪৮ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
পাঁচটি মামলার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ বলেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিছিল বের করতে গেলে রাজধানীর মালিবাগ, মৌচাক, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ১০ পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের সদস্যসহ কয়েক ডজন লোক আহত হয়।
এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।