লেবাননের উত্তর উপকূল ছেড়ে যাওয়ার একদিন পর শনিবার ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে কয়েক ডজন অভিবাসন-প্রত্যাশীর উদ্ধারে সহায়তা করার জন্য লেবানন নৌবাহিনী পাঠিয়েছে।
সেনাবাহিনীর সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাজটি এমন লোকদের বহন করছিল “যারা অবৈধভাবে লেবাননের জলসীমা ত্যাগ করার চেষ্টা করছিল”। এতে বলা হয়, লেবাননের নৌবাহিনীর তিনটি নৌকা এবং এবং ইউনিফিল নামে পরিচিত লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর একটি নৌকা প্রায় ২০০ অভিবাসন-প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে।
লেবাননের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও সবচেয়ে দরিদ্র শহর ত্রিপোলি থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে লেবাননের উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌকায় লেবানন, সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের পুরুষ, নারী ও শিশুরা ছিল। জীবিতদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ আছে শহরের তেমন বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জাহাজে থাকা সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে, মাত্র একজন ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন।
লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী এমন এক সময়ে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ইউরোপে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে কাজ করছে, যখন এই ছোট্ট দেশটি তার এই আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংকটের কবলে পড়েছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর লেবানন ছাড়ার মাত্র এক দিন পরে সিরিয়ার টার্টাস উপকূলে একটি জনাকীর্ণ নৌকা ডুবে যায়। এতে অন্তত ৯৪ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন শিশু। এতে ২০ জন প্রাণে বেঁচে যান এবং কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া সবচেয়ে মারাত্মক জাহাজডুবির মধ্যে এটি একটি। বর্তমানে আরও বেশি সংখ্যক লেবানিজ, সিরীয় ও ফিলিস্তিনিরা চাকরি ও স্থিতিশীলতার সন্ধানে অর্থসংকটে জর্জরিত লেবানন থেকে ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বলেছেন, গত এক বছরে লেবানন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্র অভিবাসনের প্রচেষ্টা ৭৩ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া লেবাননের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশটির ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থীসহ তিন-চতুর্থাংশই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।