লিবিয়ার পূর্ব উপকূলে কমপক্ষে ৭০০ জন অভিবাসন-প্রত্যশীকে বহনকারী একটি নৌযান আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপকুলরক্ষী। যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর আফ্রিকার এই দেশের মধ্য দিয়ে ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের জন্য যেতে চাওয়া অভিবাসন-প্রত্যশীদের জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এটি ছিল সবচেয়ে বড় বাধা।
উপকুলরক্ষীটি জানিয়েছে, শুক্রবার ভূমধ্যসাগরীয় শহর মৌরা থেকে ৯০ কিলোমিটার (৫৬ মাইল) পশ্চিমে নৌকাটি থামানো হয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, অভিবাসন-প্রত্যাশীরা বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। যারা অবৈধভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছেন তাদের নিজ দেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ফেইসবুকে উপকুলরক্ষী পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা যায়, অত্যন্ত জনাকীর্ণ জলযানটির অধিকাংশ আরোহীই তরুণ।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ইউরোপ যাত্রা ক্ষেত্রে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় বাধাগুলির মধ্যে একটি। মধ্য প্রাচ্য ও আফ্রিকায় সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার মানুষের গন্তব্যস্থল ইউরোপ।
গত বছরের আগস্টে, ইটালির সামরিক জাহাজগুলি দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসার উপকুল থেকে ৫৩৯ জন অভিবাসন-প্রত্যাশীর একটি নৌকাকে সহায়তা করে। নৌকাটি লিবিয়ার উপকূল থেকে রওনা দিয়েছিল ।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে লিবিয়া ইউরোপে উন্নত মানের জীবনযাত্রার সন্ধানকারী অভিবাসন-প্রত্যাশীদের জন্য প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। তেল সমৃদ্ধ দেশটি ২০১১ সালে নেটো-সমর্থিত অভ্যুত্থানের পরে বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে।ঐ অভ্যূত্থানে দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী মোয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত আর হত্যার ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)জানিয়েছে, এ বছর ভূমধ্যসাগরে ১,৫২২ জন অভিবাসন-প্রত্যাশী নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। আইওএম বলছে, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে ২৪ হাজার ৮৭১ জন অভিবাসন-প্রত্যাশী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। জাহাজডুবির সংখ্যা যেহেতু কখনোই রিপোর্ট করা হয় না, তাই প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।