লক্ষ লক্ষ ইউক্রেনীয়র জন্য নতুন বছরের উদযাপন নীরবেই চলে যাবে। তাদের মধ্যে অনেকেই রাশিয়ান বোমাবর্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জলের ঘাটতির সাথে লড়াই করছে। রাশিয়ার ১০ মাসের যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না সহজেই ।
কিন্তু কিছু পরিবারের জন্য, কয়েক মাস পরে হলেও এটি পুনরায় একত্রিত হওয়ার একটি সংক্ষিপ্ত সুযোগ।
শনিবার সকালে কিয়েভের সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে, ইউনিফর্মে থাকা অবস্থাতেই মাইকিটা তার স্ত্রী ভ্যালেরিয়ার পোল্যান্ড থেকে আসার জন্য ৯ নং প্ল্যাটফর্মে গোলাপের তোড়া হাতে অপেক্ষা করে ছিল। গত ছয় মাস ধরে তাদের দেখা হয়নি।
“এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা সত্যিই কঠিন ছিল," তিনি ভ্যালেরিয়াকে আলিঙ্গন এবং চুম্বন করার পরে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন।
কাছাকাছি, আরেকজন সৈনিক, ৪২ বছর বয়সী ভাসিল খোমকো, আনন্দের সাথে তার মেয়ে ইয়ানা এবং তার স্ত্রী গালিনার সাথে দেখা করেন। যুদ্ধের কারণে তারা স্লোভাকিয়ায় বসবাস করছেন। নতুন বছরের প্রাক্কালে একসাথে কাটানোর জন্য তারা কিয়েভে ফিরে আসেন।
১০ মাস আগে যখন ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল তখন মানসিক অবস্থা স্পষ্টত বিপরীত ছিল।
ফেব্রুয়ারী মাসে, বাবা, স্বামী এবং পুত্রদের পিছনে ফেলে তাদের স্ত্রী, মা এবং কন্যারা দেশের বাইরে সুরক্ষার জন্য ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ট্রেনে চড়েছিলেন।
কিন্তু পাশবিক যুদ্ধের মধ্যেই অনেকেই রাজধানীতে ফিরে এসে প্রিয়জনের সঙ্গে বছরের শেষ দিনটি নববর্ষের আমেজে কাটিয়েছেন।
যেহেতু রাশিয়ার আক্রমণে লক্ষ লক্ষ লোক বিদ্যুৎবিহীন, তাই কোনও বড় উদযাপনের আশা করা হচ্ছে না। নতুন বছরে ঘড়ির কাঁটার সাথে সাথে একটি কারফিউ জারি করা হবে। কিন্তু বেশিরভাগ ইউক্রেনীয়র জন্য তাদের পরিবারের সাথে একসাথে থাকা ইতিমধ্যে একটি বিলাসিতা।
ভ্যালেরিয়া যুদ্ধ থেকে প্রথমে স্পেনে আশ্রয় নিলেও পরে পোল্যান্ডে চলে যান। তাদের নতুন বছরের প্রাক্কালে পরিকল্পনাগুলি কী ছিল জানতে চাইলে, তিনি উত্তর দেন : "কেবল একসাথে থাকা।‘’
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওডেসা প্রদেশের আঞ্চলিক সরকার ডিসেম্বর ৩১ এবং জানুয়ারী ১ এ বাসিন্দাদের উদযাপনে সহায়তা করতে জ্বালানি শিল্পের কাজ সীমিত করার পরিকল্পনা করেছে।