অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গ্রামীণ ঐহিত্য লাঠি খেলার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহে বর্ষবরণ


গ্রামীণ ঐহিত্য লাঠি খেলা
গ্রামীণ ঐহিত্য লাঠি খেলা

গ্রামীণ বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্য-অনুসঙ্গ লাঠি খেলা। এক কালে বাংলাদেশ সকল অঞ্চলে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আয়োজন করা হতো আনন্দময় খেলার। কালের টানে সেই ঐতিহ্য এখন বিলীন হওয়ার পথে। টিকে আছে কিছু ঐতিহ্যপ্রিয় মানুষের প্রচেষ্টায়। তেমন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আয়োজন করা হয় লাঠি খেলার। আয়োজক ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ।

রবিবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উজির আলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় লাঠি খেলা। সমবেত হন শিশু-কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষ। লাঠির কসরত দেখে মুগ্ধ হয় দর্শকরা।

কাঞ্চননগর থেকে এসেছেন রেখা দাস। তিনি বলেন, “আমি লাঠি খেলার কথা শুনেছি, কোনোদিন দেখিনি। আজ দেখলাম খুব ভালো লেগেছে।” উদয়পুর এলাকার বিজয় হোসেন বলেন, “গ্রামে লাঠি খেলা হয় মাঝে মাঝে। শহরে তো লাঠিখেলার আয়োজন করা হয় না। নতুন বছর উপলক্ষে লাঠি খেলার আয়োজন করা হয়েছে শুনে দেখতে এলাম; ভালো লাগছে।” একই এলাকার রানা আহম্মেদ বলেন, “গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই ধরনের আয়োজন প্রতি বছর করা দরকার।”

বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকা বলেন, “বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠিখেলা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমরা চেষ্টা করছি এটি ধরে রাখতে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে এই এতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. এম হারুন অর রশিদ বলেন, “এ বছর থেকে আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুরু করেছি বিলুপ্ত-প্রায় ঐতিহ্য ধরে রাখতে। আমরা এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন আমাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে। সেই সঙ্গে শহরের মানুষ যেন আনন্দ উপভোগ করতে পারে।”

ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ১৫টি লাঠিয়াল দলের ৬৫ জন খেলোয়াড় এই আয়োজনে অংশ নেন। খেলা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

XS
SM
MD
LG