বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান সোমবার (২ জানুয়ারি) বলেছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করতে পারবে না সরকার। তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আমাদের আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে। কারণ তারা ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। যুগে যুগে মানুষের দাবি কেউ দমাতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না।”
রাজধানী ঢাকায়, জাতীয় প্রেসক্লাবে মুসলিম লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “জনগণ শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সেই পরিবর্তন চায়।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “সরকার গত তিন মাসে ১৩ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা ও অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেন, “১৯৬৯ সালের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং আমেনা বেগম নামে একজন স্বল্প পরিচিত নেতা দল চালাতেন। সেই আন্দোলনের পর নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সুতরাং, এটা সঠিক ধারণা নয় যে আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না, বিরোধী নেতাদের কারাগারে রাখলে ক্ষমতা অর্জন করা যাবে না।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “তারা (আ.লীগ নেতা) জেনেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। ক্ষমতা কি মানুষকে এত অন্ধ করে? সব রাজনৈতিক দলই মানুষের জীবনের মতো ভালো-খারাপ সময় পার করে। আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি বুঝতে পারবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও, বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এবং স্বাধীনভাবে ইচ্ছামত তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দিতে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “উন্নয়ন সবারই হওয়া উচিত। আমাদের দেশে তিন/চার বছরে প্রায় ১৩/১৪ হাজার নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। এটাকে অগ্রগতি হিসেবে দেখা যায়। তবে, এটাও সত্য যে একই সময়ে কমপক্ষে চার কোটি মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে।”