সোমবার ইসলামিক স্টেট বলেছে, তাদের আফগানিস্তান-ভিত্তিক সহযোগী দেশটির রাজধানী কাবুলের সামরিক বিমানবন্দরের বাইরে রবিবারের আত্মঘাতী বোমা হামলার পেছনে ছিল।
বোমা হামলাটি গত এক মাসে সংঘটিত তৃতীয় হাই প্রোফাইল হামলা যার দায় আইএস-খোরাসান স্বীকার করেছে।
বিমানবন্দরের প্রবেশপথে সকালের বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে। হামলার পরপরই তালিবান নেতৃত্বাধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র এ কথা জানান। তিনি এর আর কোনো বিবরণ দেননি। তালিবান বাহিনীও অপরাধের দৃশ্যে ভিডিও এবং ছবি তোলাতে বাধা দেয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করা হয়েছে, হামলায় তালিবান বাহিনীর অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছে।
১২ ডিসেম্বরের হামলায় তালিবান বাহিনীর বেশ কয়েকজন নিহত বা আহত হয়েছে। চীন নিশ্চিত করেছে যে তাদের ৫ জন নাগরিকও আহত হয়েছে। বেইজিং তড়িঘড়ি করে চীনা নাগরিক এবং কোম্পানিগুলোকে “যত দ্রুত সম্ভব দেশ ছেড়ে চলে যেতে” বলেছে।
তালিবান কর্তৃপক্ষ সে সময় দাবি করেছিল যে হোটেল হামলায় জড়িত ৩ জন বন্দুকধারী নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। কিন্তু আইএস পরে দুজন ব্যক্তির একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, তারা চীনা নাগরিকের ওপর হামলা করেছে।
আইএস-খোরাসান আফগান রাজধানীতে পাকিস্তান দূতাবাসের প্রধান উবায়দ উর রহমান নিজামনির ওপর ২ ডিসেম্বর সংঘটিত একটি হত্যা প্রচেষ্টারও দাবি করে। গোলাগুলির ঘটনায় নিজামনি অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে গেলেও তাঁর পাকিস্তানি নিরাপত্তারক্ষী আহত হন।