আফগানিস্তানের তালিবান বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তাদের বিশেষ বাহিনী কাবুল ও দেশের অন্য জায়গায় ইসলামিক স্টেটের গোপন আস্তানাগুলোতে রাতভর অভিযান চালিয়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের ১১ জন কর্মীকে হত্যা এবং সাতজনকে আটক করেছে।
তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, জঙ্গিরা আফগানিস্তানের রাজধানীতে সাম্প্রতিক হামলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে চীনা নাগরিক থাকা একটি হোটেলে প্রাণঘাতী হামলা, পাকিস্তানের দূতাবাসে সশস্ত্র হামলা এবং শহরের সামরিক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলা।
বুধবারের অভিযানের বিস্তারিত বিবরণ প্রদানের সময় মুজাহিদ দক্ষিণ-পূর্ব নিমরোজ প্রদেশের রাজধানীর কথা উল্লেখ করে বলেন "নিরাপত্তা বাহিনীর এই পদক্ষেপে কাবুল ও জারাঞ্জের তিনটি দায়েশ আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।নিহতদের মধ্যে বিদেশী দায়েশ সদস্যরাও ছিলেন।"
তিনি বলেন, “বিপুল পরিমাণ ছোট অস্ত্র, হ্যান্ড গ্রেনেড, মাইন, সুইসাইড ভেস্ট ও বিস্ফোরক জব্দ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আরও তদন্তের জন্য বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।" ভিওএ এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
তালিবানের মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী পূর্ব নানগারহার প্রদেশে রাতভর পৃথক ভাবে অভিযান চালিয়ে একজন গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডারসহ তিন আইএস-খোরাসান কর্মীকে হত্যা করা হয়।
কাবুল এবং আফগানিস্তানের অন্যান্য স্থানে বারবার হামলার ফলে, তালিবান নিরাপত্তা বাহিনী দেশটিতে আইএস-খোরাসানের উপস্থিতি হ্রাস পেয়েছে বলে যে দাবি করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।