ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমাবদ্ধ করা চুক্তিটিতে ফিরে যাওয়া বিষয়ক আলোচনা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অগ্রাধিকারমূলক বিষয় নয় বলে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে।
মুখপাত্র নেড প্রাইস সংবাদকর্মীদের বলেন যে, ২০১৫ সালের চুক্তিটি, যেটি কিনা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন হিসেবে পরিচিত, সেটি “কয়েক মাস ধরেই আলোচ্যসূচির মধ্যে নেই”।
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ট্রাম্প যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে, চুক্তিটি ইরানের পক্ষে বেশি অনুকূল এবং তিনি আবারও নিষেধাজ্ঞাগুলো জারি করেছিলেন।
ইরান এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুক্তিতে দেয়া তাদের অঙ্গীকারগুলো থেকে সরে আসে। চুক্তিটির উদ্দেশ্য ছিল এমন উদ্বেগগুলো প্রশমিত করা যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য কাজ করছে। ইরান এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে, এবং যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে তাদের সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়ামের মজুদ বৃদ্ধি করেছে, আরও উন্নত সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করছে এবং ইউরেনিয়াম আরও উচ্চতর মাত্রায় সমৃদ্ধকরণ করছে।
প্রাইস বুধবার বলেন যে, চুক্তিটিতে ফিরে আসার শর্তগুলো ইরান গত বছর প্রত্যাখ্যান করলে, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে সেপ্টেম্বর থেকে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে “ইরানের মানুষের সর্বজনীন অধিকার সমর্থন করতে সম্ভব সবকিছু করতে”, এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে সহায়তা করতে ইরানের ভূমিকার বিষয়ে মনোযোগী।
প্রাইস ইরানকে “আমাদের সম্মুখের সবচেয়ে জটিল চ্যালেঞ্জগুলোর একটি” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখ করা ছাড়াও “মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে তাদের অপকর্মমূলক কর্মকাণ্ডগুলোও” উল্লেখ করেন।
প্রাইস বলেন, “এবং এখন তারা নিজেদের মানুষের সাথে যা করছে – নিপীড়ন, যে সব সাহসী ইরানী রাস্তায় নেমে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে তারা যেই সহিংসতা সংঘটিত করছে; এবং রাশিয়াকে তারা যেই সামরিক সহায়তা, নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করছে – এই সবগুলো একসাথে মিলে বর্ধিত হয়েছে এবং এগুলো এমন সব বিষয় প্রদর্শন করে যা কিনা অনস্বীকার্যভাবেই আমাদের সামনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর একটি”।