যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, মিশরের জাতীয় মুদ্রার ওপর ক্রমবর্ধমান হারে চাপ সৃষ্টি করছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি মিশরীয় ব্যাংক এই সপ্তাহে আমানতের ওপর ২৫ শতাংশ সুদের হারসহ প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মিশরের উচ্চমাত্রার জাতীয় ঋণ ডলারে শোধ করতে হয়। এ কারণে দেশটির বাণিজ্যিক-ব্যবস্থা থেকে ডলার বেরিয়ে যাচ্ছে। মিশর তাদের প্রধান খাদ্য-সামগ্রীর ৬৫ শতাংশ আমদানি করে এবং প্রধানত ডলারে মূল্য পরিশোধ করে।
এর ফলে, ভোক্তারা দোকান থেকে উচ্চহারে নগদ মূল্য দিয়ে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। আর, যখন তারা মিশরীয় পাউন্ড দিয়ে পণ্য কিনছেন, তখন তাদের জীবন আরও দুঃসহ হয়ে উঠছে।
মিশরের রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞানী সাইদ সাদেক ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, মিশর এবং অন্য অনেক আরব দেশ রাশিয়া এবং ইউক্রেন, উভয়ের কাছ থেকে, অন্যতম প্রধান খাদ্য গম ক্রয় করে। এই গম দেশগুলোর অর্থনীতির নিয়ামক। গমের দাম এবং আরও কিছু খাদ্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান মুল্যবৃদ্ধির কারণে, গত বছর মূল্যস্ফীতির হার কম-বেশি ২০ শতাংশ বেড়েছে। এটা দেশটির অর্থনীতিকে চাপে ফেলে দিয়েছে।
সাদেক বলেছেন, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চাপ সত্ত্বেও “মিশরে বিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম”। যদিও মিশরীয়রা “২০১১ সালে সেরকম চেষ্টা করেছিল”। তখন তারা প্রবীণ নেতা হোসনি মুবারককে উৎখাত করেছিল “কেবল জানলো এতে কিন্তু তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়নি”।
আটলান্টিক কাউন্সিলের ওয়াশিংটন-ভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক পল সালিভান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, “সাধারণ মিশরীয়দের জীবন কঠিনতর হয়ে উঠছে।এদের বেশিরভাগই দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হচ্ছে। পশুখাদ্যসহ বিবিধ পণ্য আমদানি অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।আর, আমদানির জন্য ডলার পাওয়া সাম্প্রতিক অতীতের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে।”