অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপিকে দমনে দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবহার করছে সরকার: খন্দকার মোশাররফ


 রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনকে সরকার বিএনপিকে দমন করার কমিশনে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “সরকার আবারও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যেন দুদক এখন বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে।” দুদকের দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর (জমি-সম্পর্কিত) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আদালতের আদেশের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, “দুদকের দায়ের করা মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অমূলক। যে (আদালতের) আদেশটি দেওয়া হয়েছে তা প্রতিশোধমূলক এবং সরকারের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে।”

বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল বিনষ্ট ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সরকারের নির্দেশে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আদালত এ রায় দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, “আমরা সরকারের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং আদালতের নির্দেশিত রায় বাতিল এবং তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।”

মোশাররফ অভিযোগ করেন, “তারেকের যে সম্পত্তির মালিকানা নেই এবং এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, ‘তাকে সেই সম্পত্তির কাল্পনিক মালিক দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এমনকি, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে কর দেওয়া সম্পদের ক্ষেত্রে কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আদালতের এমন আদেশের মাধ্যমে সরকার তারেকের নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারবে না এবং তার স্ত্রীকে হেয় করতে পারবে না। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার এবং আইনের শাসন পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলনকে অন্য দিকে পরিচালিত বা বানচাল করা যাবে না।”

মোশাররফ বলেন, “ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দুর্নীতিতে লিপ্ত হলেও, দুদক সরকারের দুর্নীতির দিকে চোখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।সরকার সমর্থিত ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে; তাদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয় না।”

“তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ এমন সময়ে দেওয়া হয়েছে, যখন দেশের জনগণ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জেগে উঠেছে;” বললেন খন্দকার মোশারফ। তিনি বলেন, “বিএনপির কর্মসূচির প্রতি জনতার সমর্থন দেখে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। চলমান আন্দোলনকে ঠেকাতে বা দুর্বল করতে সরকার এসব করছে।”

কোনো দমনমূলক কর্মকাণ্ড জনগণকে দমন করতে পারবে না এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বর্তমান আন্দোলনকে বানচাল করতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

XS
SM
MD
LG