অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তালিবানকে নারীর বিরুদ্ধে “বিপজ্জনক প্রচারণা” বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ


কাবুলে একজন নারী হেঁটে যাচ্ছেন। একজন তালিবান যোদ্ধা পাহারা দিচ্ছেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।
কাবুলে একজন নারী হেঁটে যাচ্ছেন। একজন তালিবান যোদ্ধা পাহারা দিচ্ছেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২। ফাইল ছবি।

জাতিসংঘ এবং একটি সহায়তা সংস্থার কর্মকর্তারা আফগানিস্তানে তালিবানের সাথে বৈঠক করেন, যখন দেশটির ইসলামপন্থী শাসকদের জনজীবন থেকে নারীদের বাদ দেয়ার “বিপজ্জনক প্রচারণা” চালানো বন্ধ করার জোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।

জাতিসংঘের প্রধান যোগাযোগকারী মেলিসা ফ্লেমিং তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে বলেছেন, “দেশটির কার্যত কর্তৃপক্ষ ধীরে ধীরে জনজীবন থেকে নারীদেরকে মুছে ফেলার এবং তাদের অবদান অস্বীকার করার জন্য পদ্ধতিগত প্রচারণা নিজেদের ক্ষতির একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ।” তার এ মন্তব্যের কয়েকদিন পরেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের দূত মার্কাস পটজেল রাজধানী কাবুলে সিনিয়র তালিবান মন্ত্রীদের সাথে বারংবার করা বৈঠকের সময় ফ্লেমিং-এর এই মন্তব্য এসেছে। তিনি দেশটির ভয়াবহ মানবিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে নারী শিক্ষার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং সহায়তা গোষ্ঠীর সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তালিবান ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে নারীদের জীবনে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদেরকে অনেক কর্মক্ষেত্র থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া থেকে বিরত রেখেছে।

নারীদের গণ বিনোদন স্থান, ব্যায়ামাগার এবং স্নানের মতো জায়গাগুলোতে যাওয়ার অনুমতি নেই। জনসাধারণের মধ্যেও তাদের মুখ ঢেকে রাখতে হয়।

জাতিসংঘের ফ্লেমিং আরও বলেন, “কোনো দেশই তার অর্ধেক জনসংখ্যাকে সমাজ থেকে বাদ দিতে পারে না। আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য নারী এবং মেয়েরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তালিবান তাদের শাসন এবং নীতির সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, এই পদক্ষেপগুলো আফগান সংস্কৃতি এবং ইসলামি আইন বা শরিয়ার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

XS
SM
MD
LG