অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আলোচিত রিফাত হত্যা মামলা—মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে হাইকোর্টের অপারগতা প্রকাশ


রিফাত হত্যা মামলা
রিফাত হত্যা মামলা

বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

আদালতে মিন্নির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

পরে জামিউল আহসান ফয়সাল সাংবাদিকদের জানান, ‘আদালত মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। আমরা এখন হাইকোর্টের অন্য কোনো বেঞ্চে জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করব’।

এর আগে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর হত্যা মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মিন্নি। ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর মিন্নি নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান। ২০১৯ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনায় রিফাত হত্যার ঘটনায় ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান মিন্নি ও অন্য পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর প্রকাশিত হয় এবং পরের দিন ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্ট বিভাগে পৌঁছায়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা শহরে রিফাত শরীফকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বরগুনা সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের কাছে তাঁর ওপর হামলা হয়। নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, তাঁর স্ত্রী মিন্নি তাঁকে আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন।

এই ঘটনার পর রিফাতের বাবা বাদী হয়ে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রথমে মিন্নিকে একজন সাক্ষী হিসেবে রাখা হলেও ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই তাকে অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন প্রধান অভিযুক্ত সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যার দায়ে মিন্নিসহ আরও নয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

এদিকে হত্যার অভিযোগে কিশোর আদালতে অন্য ১৪ অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তকে আলাদাভাবে বিচার করা হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG