অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হাইতিতে সিনেটরদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাজনৈতিক শূন্যতা গভীতর হয়েছে


হাইতিতে বিশৃঙ্খলা ও প্রতিবাদ
হাইতিতে বিশৃঙ্খলা ও প্রতিবাদ

মঙ্গলবার ঘুম ভেঙে হাইতি দেখলো তাদের সর্বসাম্প্রতিক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের- অর্থাৎ সিনেট- এই সিনেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।এটি একটি উদ্বেগজনক অবস্থা যার ফলে হাইতির পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। কারো কারো মতে, গ্যাং সহিংসতায় বিপর্যস্ত একই দেশটি কার্যত একনায়কত্বের অধীনে চলছে।

মাত্র ১০ জন সিনেটর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের প্রতীকীভাবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। হাইতি ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে আইন প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মেয়াদ রাতারাতি শেষ হয়ে গিয়েছিল যা হাইতিকে তার হাউজ বা সেনেটে কোন আইনপ্রণেতা ছাড়াই একটি রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

পোর্ট-অ-প্রিন্স শহরের কেন্দ্রস্থলে সংসদ ভবনটি মঙ্গলবারে নির্জন ছিল, গেটে শুধু নিরাপত্তারক্ষীরা ছিল। হাইতির অকার্যকর সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনের বাইরেও একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে।

প্রেসিডেন্ট মোইসে নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে হাইতির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। গত দেড় বছরে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তিনি সাধারণ নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার সর্বসাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতি ছিল, ১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের কাজ আবার শুরু করা হবে এবং নির্বাচনের জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত তারিখ নির্ধারণের জন্য একটি অস্থায়ী নির্বাচনী পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া হবে।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, হাইতিতে নির্বাচনের আগে নিরাপত্তার উন্নতি করতে হবে। জাতিসংঘের মতে, গত বছর রিপোর্ট করা হয়েছে এমন অপহরণের সংখ্যা ১২শ-র বেশি ছিল যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। কমপক্ষে ২৮০টি হত্যার ঘটনা শুধুমাত্র নভেম্বরেই জানানো হয়েছে, যা সর্বোচ্চ মাসিক রেকর্ড।

পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সাথে সাথে ক্রমাগতভাবে মরিয়া হতে থাকা হাইতির অধিবাসীরা কিছুটা নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষা অর্জনের জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিমান বা ভাঙা নৌকা করে পালিয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গত বছর হাজার হাজার মানুষকে আটক করে হাইতিতে ফেরত পাঠায়।

XS
SM
MD
LG