মঙ্গলবার একজন বিচারক সেনেগালের এক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সরকার বিরোধী সমালোচককে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তার আইনজীবীরা জানান, তাকে প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আটক রাখা হয়েছিল।
ডাকার মাতিন অনলাইন সংবাদ পোর্টালের প্রধান পাপে আলে নিয়াংকে ৬ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে “জাতীয় সুরক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এরকম তথ্য প্রকাশের” অভিযোগ আনা হয়।
সেনেগালের অনেক মানুষ সাম্প্রতিক সংবাদ নিয়ে লেখা তার নিয়মিত কলাম অনুসরণ করেন। নিয়াংকে ১৪ ডিসেম্বর মুক্তি দেওয়া হলেও ১ সপ্তাহ পর আবারও কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। তখন থেকে তিনি তার আটকাদেশের প্রতিবাদে অনশন বিক্ষোভ করছেন।
আইনজীবী মুসা সার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এই সাময়িক মুক্তির আদেশের সঙ্গে কিছু শর্ত রয়েছে। এ মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং নিয়াং কোথাও ভ্রমণও করতে পারবেন না।
স্থানীয় প্রেস সংগঠনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাংবাদিক নিয়াং ২৪ ডিসেম্বর থেকে ডাকারের প্রধান হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে ডাক্তাররা তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেন।
সেনেগালের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা আউসমান সনকোর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে লেখার পর নিয়াং এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
তদন্তকারীরা সনকোকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য যেসব নিরাপত্তা উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেগুলোর বিষয়ে গোপন তথ্যের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় নিয়াং এর বিরুদ্ধে। ট্রেড ইউনিয়ন এ তথ্য জানিয়েছে।
নিয়াংকে আটক করায় গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ গোষ্ঠী ও সেনেগালের বিরোধীদলগুলোর কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা আসে। অনেকেই তাকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান।
প্রথাগতভাবে সেনেগাল পশ্চিম আফ্রিকায় সংবাদ মাধ্যমের খোলাখুলি ও স্বাধীন মত প্রকাশের বিষয়ে সুনাম অর্জন করে এসেছে। তবে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের মতে, তাদের এই সুনাম নিম্নমুখী।
২০২২ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে সেনেগাল ২০২১ সালের তুলনায় ২৪ ধাপ পিছিয়ে ১৮০ দেশের মধ্যে ৭৩তম স্থান অর্জন করে।